ঢাকা , সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেঞ্চুরি করার পরেও বিজয়কে হাসতে দিলেন না হাসান

শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য ১৭ রানের প্রয়োজন ছিল দুর্বার রাজশাহীর। স্ট্রাইকে তখন ৯১ রানে অপরাজিত থাকা এনামুল হক বিজয়। হাসান মাহমুদের প্রথম বলে ৪ মেরে শুরুটা ভালোই করলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ফিরতি বলে ২ রান নিলেও তৃতীয় বলে ডট দিয়ে নিজের ওপর চাপ বাড়ান তিনি।

চতুর্থ বল ফুলটাস পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি বিজয়। উল্টো বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান, মোহাম্মদ নওয়াজ ক্যাচ মিস করলে। ৯৯ রানে ব্যাটিং করা বিজয়ের সামনে তখন সমীকরণ ২ বলে ৯ রান।

পঞ্চম বল দারুণ এক ইয়র্কার দিলেন হাসান।

তাতে ব্যাটে লাগালেও রান নিতে পরাস্ত হলেন বিজয়। তাতে জয় পাওয়ার আশাও শেষ হয় রাজশাহীর। শেষ বলে ৯ রান প্রয়োজন তখন ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন রাজশাহীর অধিনায়ক। বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করার বিপরীতে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
এতে সেঞ্চুরি করেও ৭ রানের পরাজয় দেখলেন তিনি।এর আগে শেষ ১২ বলে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর। হাতে ছিল ৭ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুই সেট ব্যাটার বিজয় ও বার্ল। সালমান এরশাদের প্রথম বলে চার মেরে সমীকরণটা ১১ বলে ২১ রানে নামিয়ে আনেন বার্ল।

তবে শেষ ৫ বলে ৫ রান দিয়ে বার্লকে আউট করে ম্যাচটা আবারো জমিয়ে দেন পাকিস্তানি পেসার।আজ খুলনা টাইগার্সের দেওয়া ২১০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুও পেয়েছিল রাজশাহী। ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন জিশান আলম ও মোহাম্মদ হারিস। ২০০.০০ স্ট্রাইকরেটে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানে জিশান ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত ফেরেন তার ওপেনিং সঙ্গী হারিসও (১৫)।

৬২ রানে ২ উইকেট হারানো রাজশাহীকে পরে পথ দেখান এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি, দুজনে মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে। ২০ রানে রাব্বি ফিরলেও আরেক সতীর্থ রায়ান বার্লকে নিয়ে প্রায় জয়ের কাজটা সেড়েই ফেলেছিলেন বিজয়। কিন্তু শেষ দিকে এসে সমীকরণটা মেলাতে পারেননি রাজশাহীর অধিনায়ক।

অথচ, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নেতার কাজ করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন বিজয়। চট্টগ্রামে নিজের দায়িত্বটা পালনের পথেও ছিলেন তিনি। বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ায় তার জন্য রাতটা স্মরণীয় হতে পারত। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে না পারায় তার সেঞ্চুরিটা যেন আক্ষেপ হয়েই থাকল। বাংলাদেশের ৯ম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পাওয়া বিজয় যে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেননি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সেঞ্চুরি করার পরেও বিজয়কে হাসতে দিলেন না হাসান

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে
শেষ ৬ বলে জয়ের জন্য ১৭ রানের প্রয়োজন ছিল দুর্বার রাজশাহীর। স্ট্রাইকে তখন ৯১ রানে অপরাজিত থাকা এনামুল হক বিজয়। হাসান মাহমুদের প্রথম বলে ৪ মেরে শুরুটা ভালোই করলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ফিরতি বলে ২ রান নিলেও তৃতীয় বলে ডট দিয়ে নিজের ওপর চাপ বাড়ান তিনি।

চতুর্থ বল ফুলটাস পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি বিজয়। উল্টো বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান, মোহাম্মদ নওয়াজ ক্যাচ মিস করলে। ৯৯ রানে ব্যাটিং করা বিজয়ের সামনে তখন সমীকরণ ২ বলে ৯ রান।

পঞ্চম বল দারুণ এক ইয়র্কার দিলেন হাসান।

তাতে ব্যাটে লাগালেও রান নিতে পরাস্ত হলেন বিজয়। তাতে জয় পাওয়ার আশাও শেষ হয় রাজশাহীর। শেষ বলে ৯ রান প্রয়োজন তখন ১ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন রাজশাহীর অধিনায়ক। বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি উদযাপন করার বিপরীতে হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো তাকে।
এতে সেঞ্চুরি করেও ৭ রানের পরাজয় দেখলেন তিনি।এর আগে শেষ ১২ বলে ২৫ রান প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর। হাতে ছিল ৭ উইকেট। ব্যাটিংয়ে ছিলেন দুই সেট ব্যাটার বিজয় ও বার্ল। সালমান এরশাদের প্রথম বলে চার মেরে সমীকরণটা ১১ বলে ২১ রানে নামিয়ে আনেন বার্ল।

তবে শেষ ৫ বলে ৫ রান দিয়ে বার্লকে আউট করে ম্যাচটা আবারো জমিয়ে দেন পাকিস্তানি পেসার।আজ খুলনা টাইগার্সের দেওয়া ২১০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুও পেয়েছিল রাজশাহী। ওপেনিং জুটিতে ৪৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন জিশান আলম ও মোহাম্মদ হারিস। ২০০.০০ স্ট্রাইকরেটে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩০ রানে জিশান ফিরে যাওয়ার পর দ্রুত ফেরেন তার ওপেনিং সঙ্গী হারিসও (১৫)।

৬২ রানে ২ উইকেট হারানো রাজশাহীকে পরে পথ দেখান এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি, দুজনে মিলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে। ২০ রানে রাব্বি ফিরলেও আরেক সতীর্থ রায়ান বার্লকে নিয়ে প্রায় জয়ের কাজটা সেড়েই ফেলেছিলেন বিজয়। কিন্তু শেষ দিকে এসে সমীকরণটা মেলাতে পারেননি রাজশাহীর অধিনায়ক।

অথচ, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নেতার কাজ করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন বিজয়। চট্টগ্রামে নিজের দায়িত্বটা পালনের পথেও ছিলেন তিনি। বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ায় তার জন্য রাতটা স্মরণীয় হতে পারত। কিন্তু দলকে জয় এনে দিতে না পারায় তার সেঞ্চুরিটা যেন আক্ষেপ হয়েই থাকল। বাংলাদেশের ৯ম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পাওয়া বিজয় যে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারেননি।