ঢাকা , সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষি খাতে জোর

দেশে খাদ্য মজুদ বাড়ানো, আমদানিনির্ভরতা কমানো এবং টেকসই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে উৎপাদনে জোর দিচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ কৃষক তৈরি এবং পুষ্টির চাহিদা মেটাতে দুধ, মাছ ও মাংস উৎপাদন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

গত ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর এবং ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কৃষি খাতে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো, সিলেট বিভাগের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন প্রকল্প, ডাল তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প এবং কুমিলা অঞ্চলে টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। যার পুরো অর্থ জোগান দেবে নিজস্ব সংস্থা এবং সরকার।

এর মধ্যে ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে সিলেট বিভাগে ৫১ হাজার ৫৮ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য ‘সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন’ শীর্ষক প্রকল্প গত ৮ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩১ হেক্টর, যেখানে নিট সেচযোগ্য জমির পরিমাণ ৭ লাখ ২৮ হাজার ৮৪০ হেক্টর। বিভিন্ন পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩১১ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং আরও ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৯ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে ১৫ হাজার ৩৩৯ হেক্টর ও ভূ-গর্ভস্থ পানির মাধ্যমে ১ হাজার ৬৮০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে ৫১ হাজার ৫৮ মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাল, নালা, পাহাড়ি ছড়া পুনঃখনন ও সংস্কার, সেচযন্ত্র স্থাপন, সেচ অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিক সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে ৫১ হাজার ৫৮ মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

প্রকল্পের পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের মোট ভূমির পরিমাণ নির্দিষ্ট হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ক্রমবর্ধমান এ জনসংখ্যার বসতভিটা নির্মাণ ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কৃষি জমির পরিমাণ মোট ভূমির ৭০ দশমিক ২ শতাংশ। মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ ১২.৫ শতক। প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ হারে কৃষি জমি অকৃষি জমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, এতে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ হারে ধান উৎপাদন কমছে। এ হারে জমি কমতে থাকলে আগামী ৫০ বছরে কৃষি জমির পরিমাণ আরও ১৫ শতাংশ কমে যাবে। জমির পরিমাণ কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে ফসল উৎপাদন কমে যাবে।

অন্যদিকে ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ২৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্প ৮টি বিভাগের ৪২টি জেলার ২০০টি উপজেলা এবং দুটি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গুণগত মানসম্পন্ন ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণ এবং কৃষকের মাঝে বিতরণ ও সরবরাহের মাধ্যমে বীজের চাহিদা পূরণ করে ডাল এবং তৈলবীজ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পটি ৪৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে।  চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আশুগঞ্জ এবং ঘোড়াশালের  থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে প্রাপ্ত পানি শীতলীকরণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান করে ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব বলে মনে করছে উদ্যোগী সংস্থা।

অন্যদিকে একই দিন কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন দেয় একনেক। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শস্য বিন্যাস পরিবর্তনের ফসলের নিবিড়তা ২০৫ শতাংশ থেকে ২০৭ শতাংশে উন্নীতকরণ সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রোববার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণে  টিস্যুকালচার  ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তালহা জুবায়ের মাসরুর বলেন, কৃষি খাতে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। এ ছাড়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফসল উৎপাদন করা জরুরি।

যে ফসলের দাম বেশি আমরা সাধারণ সেটা বেশি উৎপাদন করি। যার ফলে আমাদের লোকসান হয়। ফসল উৎপাদনের আগেই কোনটার চাহিদা বেশি সেটা আগে চিহ্নিত করে উৎপাদন করলে লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে।  টার্গেটভিত্তিক ফসল উৎপাদন করলে নায্য দাম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আমদানিনির্ভরতা কমাতে কৃষি খাতে জোর

আপডেট টাইম : ৩ ঘন্টা আগে

দেশে খাদ্য মজুদ বাড়ানো, আমদানিনির্ভরতা কমানো এবং টেকসই পুষ্টির চাহিদা মেটাতে উৎপাদনে জোর দিচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষ কৃষক তৈরি এবং পুষ্টির চাহিদা মেটাতে দুধ, মাছ ও মাংস উৎপাদন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

গত ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর এবং ২০২৫ সালের ৮ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় কৃষি খাতে চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পগুলো হলো, সিলেট বিভাগের ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন প্রকল্প, ডাল তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প, আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্প এবং কুমিলা অঞ্চলে টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে খরচ হবে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। যার পুরো অর্থ জোগান দেবে নিজস্ব সংস্থা এবং সরকার।

এর মধ্যে ধানের উৎপাদন বাড়াতে ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এর আগে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে সিলেট বিভাগে ৫১ হাজার ৫৮ মেট্রিক টন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ জন্য ‘সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবস্থাপনা ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন’ শীর্ষক প্রকল্প গত ৮ জানুয়ারি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০২৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্প এলাকায় মোট জমির পরিমাণ ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩১ হেক্টর, যেখানে নিট সেচযোগ্য জমির পরিমাণ ৭ লাখ ২৮ হাজার ৮৪০ হেক্টর। বিভিন্ন পদ্ধতিতে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২৯ হাজার ৩১১ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে এবং আরও ২ লাখ ৯৯ হাজার ৫২৯ হেক্টর জমি সেচের আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট বিভাগে ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে ১৫ হাজার ৩৩৯ হেক্টর ও ভূ-গর্ভস্থ পানির মাধ্যমে ১ হাজার ৬৮০ হেক্টরসহ মোট ১ হাজার ৭১৯ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে ৫১ হাজার ৫৮ মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্য শস্য উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রকল্পটির বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাল, নালা, পাহাড়ি ছড়া পুনঃখনন ও সংস্কার, সেচযন্ত্র স্থাপন, সেচ অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিক সেচ প্রযুক্তি ব্যবহার করা। এর মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ করে ৫১ হাজার ৫৮ মেট্রিকটন অতিরিক্ত খাদ্যশস্য উৎপাদন সম্ভব হবে। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

প্রকল্পের পটভূমিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের মোট ভূমির পরিমাণ নির্দিষ্ট হলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ক্রমবর্ধমান এ জনসংখ্যার বসতভিটা নির্মাণ ও বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কারণে প্রতি বছর কৃষি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে কৃষি জমির পরিমাণ মোট ভূমির ৭০ দশমিক ২ শতাংশ। মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ ১২.৫ শতক। প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৫৬ শতাংশ হারে কৃষি জমি অকৃষি জমিতে রূপান্তরিত হচ্ছে, এতে শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ হারে ধান উৎপাদন কমছে। এ হারে জমি কমতে থাকলে আগামী ৫০ বছরে কৃষি জমির পরিমাণ আরও ১৫ শতাংশ কমে যাবে। জমির পরিমাণ কমে গেলে স্বাভাবিকভাবে ফসল উৎপাদন কমে যাবে।

অন্যদিকে ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদনের মাধ্যমে টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তা জোরদারকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে ২৪ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্প ৮টি বিভাগের ৪২টি জেলার ২০০টি উপজেলা এবং দুটি সিটি করপোরেশনে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে গুণগত মানসম্পন্ন ডাল ও তৈলবীজ উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ সংরক্ষণ এবং কৃষকের মাঝে বিতরণ ও সরবরাহের মাধ্যমে বীজের চাহিদা পূরণ করে ডাল এবং তৈলবীজ ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ-পলাশ সবুজ প্রকল্পটি ৪৭০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন দেয় একনেক। প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হবে।  চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আশুগঞ্জ এবং ঘোড়াশালের  থার্মাল পাওয়ার প্লান্ট থেকে প্রাপ্ত পানি শীতলীকরণের মাধ্যমে সেচ সুবিধা প্রদান করে ফসল উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব বলে মনে করছে উদ্যোগী সংস্থা।

অন্যদিকে একই দিন কুমিল্লা অঞ্চলে টেকসই কৃষিপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পে ২০৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় অনুমোদন দেয় একনেক। ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। চার বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে আধুনিক কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শস্য বিন্যাস পরিবর্তনের ফসলের নিবিড়তা ২০৫ শতাংশ থেকে ২০৭ শতাংশে উন্নীতকরণ সম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে রোববার বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে (পিআইবি) কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণে  টিস্যুকালচার  ল্যাবরেটরি কাম হর্টিকালচার সেন্টার স্থাপন ও উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক তালহা জুবায়ের মাসরুর বলেন, কৃষি খাতে আমাদের আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে হবে। এ ছাড়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফসল উৎপাদন করা জরুরি।

যে ফসলের দাম বেশি আমরা সাধারণ সেটা বেশি উৎপাদন করি। যার ফলে আমাদের লোকসান হয়। ফসল উৎপাদনের আগেই কোনটার চাহিদা বেশি সেটা আগে চিহ্নিত করে উৎপাদন করলে লোকসানের সম্ভাবনা কম থাকে।  টার্গেটভিত্তিক ফসল উৎপাদন করলে নায্য দাম পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে মন্তব্য করেন তিনি।