গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নিখোঁজের পর একটি বাঁশবাগানে সাদিয়ার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত সাদিয়া উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের মোহাম্মদ বাবুর মেয়ে।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
নিহত সাদিয়ার বাবা মোহাম্মদ বাবু অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘চম্পা মাদকসেবী। সাদিয়ার কানে থাকা সোনার দুলের লোভে সে তাকে হত্যা করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাদিয়া মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ির পাশে তার সঙ্গে চম্পার দেখা হয়। চম্পা তাকে ফুঁসলিয়ে পাশের হারুন অর রশিদের বাঁশবাগানে নিয়ে যায়।
ঝিকরগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, ‘শিশুটির গায়ের গেঞ্জি গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় চম্পা খাতুন নামের এক নারীকে আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসপি রেশমা শারমিন জানান, আটক চম্পা ইয়াবাসেবী বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন। তিনি শিশুটির কানে থাকা সোনার দুল হাতিয়ে নেওয়ার লোভে তাকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার রেশমা বলেন, ‘চম্পা শিশুটির কান থেকে দুল খুলে নিয়ে যশোর শহরে এসে একটি দোকানে তা বিক্রি করে। এরপর সেই টাকা দিয়ে শহরের জেনারেল হাসপাতালের সামনে ভৈরব হোটেলে খাওয়া-দাওয়া করে। ঝিকরগাছা পুলিশ কানের দুল উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে যশোর শহরের দিকে রওনা হয়েছে।’