ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক বিদেশে, কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী (১৫)। ধর্ষণের পর অভিযুক্ত জনি (২২) প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পাশের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গেলে জনি নামের অভিযুক্ত যুবক নির্জন পরিবেশ পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় পাঁচ মাস আগে। এরপর ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ভয়ে কাউকে বলেনি।

গত ৪ জানুয়ারি কিশোরীর চালচলনে তার মা কিছুটা ধারণা করতে পারেন। পরে চাপ প্রয়োগ করে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে কিশোরী। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরদিন ৫ জানুয়ারি তাকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পরীক্ষা করালে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়।

পরে অভিযুক্ত জনির বাবা ও মাকে জানালে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তার ছেলের নামে বদনাম ছড়ালে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে গত ৬ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, এ ঘটনার কথা মেয়েটি ভয়ে বলতে চায়নি। পরে তাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞেস করলে অবশেষে সত্য বলেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মামলা করেছি। আইনগতভাবে যা বিচার হয় আমরা তা মেনে নিব। তবে আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত জনির বাবা বলেন, ‘আমর ছেলে গত ১৩ নভেম্বর সাইপ্রাস চলে গেছে। সে এ কাজ করে নাই।’ এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের বিচারে যা হয় আমি মেনে নেব।’

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, এ ঘটনায় জনি, তার বাবা-মা ও বোনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার পর এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবক বিদেশে, কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

আপডেট টাইম : এক ঘন্টা আগে

চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী (১৫)। ধর্ষণের পর অভিযুক্ত জনি (২২) প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পাশের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গেলে জনি নামের অভিযুক্ত যুবক নির্জন পরিবেশ পেয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি ঘটেছে প্রায় পাঁচ মাস আগে। এরপর ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ভয়ে কাউকে বলেনি।

গত ৪ জানুয়ারি কিশোরীর চালচলনে তার মা কিছুটা ধারণা করতে পারেন। পরে চাপ প্রয়োগ করে জিজ্ঞেস করলে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বলে কিশোরী। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য পরদিন ৫ জানুয়ারি তাকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে পরীক্ষা করালে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানায়।

পরে অভিযুক্ত জনির বাবা ও মাকে জানালে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং তার ছেলের নামে বদনাম ছড়ালে সমস্যা হবে বলে হুমকি দেন। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে গত ৬ জানুয়ারি কিশোরীর মা বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী কিশোরীর মা বলেন, এ ঘটনার কথা মেয়েটি ভয়ে বলতে চায়নি। পরে তাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞেস করলে অবশেষে সত্য বলেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মামলা করেছি। আইনগতভাবে যা বিচার হয় আমরা তা মেনে নিব। তবে আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত জনির বাবা বলেন, ‘আমর ছেলে গত ১৩ নভেম্বর সাইপ্রাস চলে গেছে। সে এ কাজ করে নাই।’ এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আইনের বিচারে যা হয় আমি মেনে নেব।’

মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল হক বলেন, এ ঘটনায় জনি, তার বাবা-মা ও বোনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মামলার পর এসআই মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।