ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলেপ্পো দখল করা বিদ্রোহীদের ওপর রাশিয়ার হামলা

অনেকদিন শান্ত থাকার পর আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে সিরিয়া পরিস্থিতি। সশস্ত্র বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এরপর সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে যৌথভাবে রাশিয়ার বাহিনীও দেশটিতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত কয়েক বছরে রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় সিরিয়ার দুই তৃতীয়াংশ এলাকা আসাদ তার সরকারের অধীনে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরমধ্যে বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্ত অবস্থান হিসেবে পরিচিত ইডলিব এবং আলেপ্পোর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলও ছিল।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তারির আল-শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের একটি অংশ আলেপ্পো শহরের অনেক ভেতরে প্রবেশে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’। আর গতকাল শনিবার সিরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে আলেপ্পো এবং ইডলিবে দেশটির বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে এবং পাল্টা হামলা চালানোর আগে সাময়িকভাবে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আলেপ্পোর বড় অংশের দখল নিয়ে নিয়েছে।

সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার শহর এবং গ্রামগুলোও রাশিয়া এবং সিরীয় বাহিনীর বিমান হামলার শিকার হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা প্রবেশের পর সংশ্লিষ্ট এলাকার ১৪ হাজারের মতো বাসিন্সিন্দা নিজেদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আলেপ্পো দখল করা বিদ্রোহীদের ওপর রাশিয়ার হামলা

আপডেট টাইম : ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

অনেকদিন শান্ত থাকার পর আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে সিরিয়া পরিস্থিতি। সশস্ত্র বিদ্রোহীরা সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর অধিকাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এরপর সেখানে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের মিত্র রাশিয়া। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ২০১৫ সাল থেকে যৌথভাবে রাশিয়ার বাহিনীও দেশটিতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত কয়েক বছরে রাশিয়া এবং ইরানের সহায়তায় সিরিয়ার দুই তৃতীয়াংশ এলাকা আসাদ তার সরকারের অধীনে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছিলেন। এরমধ্যে বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্ত অবস্থান হিসেবে পরিচিত ইডলিব এবং আলেপ্পোর দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলও ছিল।

সশস্ত্র গোষ্ঠী হায়াত তারির আল-শামের নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহীদের একটি অংশ আলেপ্পো শহরের অনেক ভেতরে প্রবেশে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’। আর গতকাল শনিবার সিরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত কয়েকদিনে আলেপ্পো এবং ইডলিবে দেশটির বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছে এবং পাল্টা হামলা চালানোর আগে সাময়িকভাবে সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো আলেপ্পোর বড় অংশের দখল নিয়ে নিয়েছে।

সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট এলাকার শহর এবং গ্রামগুলোও রাশিয়া এবং সিরীয় বাহিনীর বিমান হামলার শিকার হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, বিদ্রোহীরা প্রবেশের পর সংশ্লিষ্ট এলাকার ১৪ হাজারের মতো বাসিন্সিন্দা নিজেদের ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।