ঢাকা , বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী-রংপুরে সেচ নিয়ে উদ্বেগে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ

রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ৬ লাখ হেক্টর জমিতে ষোলো হাজার ১৭৪টি সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। তবে এবার কৃষকদের জন্য বিএমডিএর এই সেচসেবা অব্যাহত রাখা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন সমিতিগুলো থেকে বিশেষ ছাড় চেয়েছে বিএমডিএ।

এ বিষয়ে বিএমডিএ গত ১৯ নভেম্বর বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়, বিএমডিএ স্ব-অর্থায়নের পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। কৃষকদের সেচসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থে সেচযন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা ব্যয়, অফিস পরিচালনা ব্যয় ও কর্মরত জনবলের বেতন সুবিধা প্রদান করে। এমনকি কর্মকর্তাদের অবসরকালীন সুবিধাসহ সব ব্যয় নির্বাহ করা হয়। তবে বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিএমডিএর প্রাপ্ত সুবিধাগুলো না দেওয়ায় সংকটের পড়েছে সংস্থাটি। ফলে বিইআরসির নির্দেশনা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিতরণ কর্র্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিএমডিএ বিশেষ ছাড় চায়।

বিএমডিএ বলছে, বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, সেচযন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরমত ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও শুধু কৃষকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবেÑ এই বিবেচনায় তারা সেচচার্জ বৃদ্ধি করছে না। কারণ সেচে প্রয়োজনীয় চার্জ বাড়ানো হলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। এদিকে বর্তমান কর্তৃপক্ষের আর্থিক অবস্থাও শোচনীয়। ফলে ১০ শতাংশ হারে বাট্টা (ডিসকাউন্ট) প্রদান চালুসহ ‘নো লোড লস’ বাবদ গৃহীত অর্থ ফেরত বা সমন্বয়, একই সঙ্গে এলটি-বি (সেচ বা কৃষি কাজ) শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে অন্যান্য গ্রাহকের ন্যায় বিএমডিএর সুবিধা প্রদান করার দাবি করেছে। যদি না করা হয়, তবে কৃষি সেচসেবা অব্যাহত রাখা কর্তৃপক্ষের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই পত্রে বিদ্যুৎ সচিবের কাছে আবেদন করা হয়েছে। যাতে বিএমডিএ আওতাধীন এলাকায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ৬ লাখ হেক্টর জমিতে ষোলো হাজার ১৭৪টি সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে। তবে এসব সেচ সুবিধা দিতে গিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি এবং রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি নর্র্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বিএমডিএ বিদ্যুৎ সচিবকে জানিয়েছে যে ২০১৩ সালে সংস্থাটির সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই অ-সেচ মৌসুমে (মে-নভেম্বর) বিএমডিএ কর্তৃক পরিচালিত সেচযন্ত্রের প্রতিটি ট্রান্সফরমারের বিপরীতে অতিরিক্ত ৪৬ ইউনিট নো-লোড যোগ করে বিদ্যুৎ বিল প্রদার করা হয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিএমডিএর আপত্তি উপেক্ষা করে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) এ বিল গ্রহণ করে। পরে বিএমডিএ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে আবেদন করলে কমিশন ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল বিএমডিএর ‘এলটি-বি’ সেচ/কৃষি কাজের ব্যবহৃত পাম্প শ্রেণির বিদ্যুৎ বিলে ‘নো লোড’ আরোপ করবে না এমন সিদ্ধান্ত প্রদান করে। ফলে বিএমডিএ কর্র্তৃপক্ষ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নো-লোড লস বিল বাবদ আদায়কৃত ২১ দশমিক ১৩ কোটি টাকা বিএমডিএর অনুকূলে ফেরত বা সমন্বয় দাবি করছে।

এ ছাড়া বিএমডিএ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ২০০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ, পাঁচটি ৫ দশমিক শূন্য এমভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন করে পবিসের নিকট হস্তান্তর করেছে। পবিস এই বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করে অনেক গ্রাম বিদ্যুতায়ন করেছে। বিএমডিএ হস্তান্তরিত বৈদ্যুতিক লাইনের আওতায় সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ বিল হতে ১০ শতাংশ হারে বাট্টা প্রদান করা হতো। কিন্তু পবিস পরে সেই বাট্টা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। এক পর্যায়ে ২০০৯ সাল থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বিলে বাট্টা প্রদান বন্ধ করে দেয়।

বিএমডিএ দাবি করেছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়েছে, সেখানে বাট্টা বাবদ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা পাবে। একই সঙ্গে বিএমডিএ এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলটি-বি লাইন মেরামত করতে যেন পল্লী বিদ্যুতায়ন সমিতিগুলো থেকে প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া নামিয়ে রাখা ট্রান্সফরমার পুনঃউত্তোলন বাবদ ১৬শ টাকা এবং ট্রান্সফরমার টেস্ট বাবদ ৫ হাজার ১৭৫ টাকা ফি নেওয়া হয়। ফলে পাবনা পবিস-১ ও ২ ব্যতীত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এ সংক্রান্ত কোনো চার্জ যেন আরোপ না করে।

এদিকে বিএমডিএ নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কাছে সেচকাজের বিপরীতে প্রদানকৃত বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ রিবেট দাবি করেছে। এ ছাড়া সেচকাজে নেট মিটারিংয়ে বিষয়ে সোলার ইরিগেশন গ্রিড ইন্টিগেশনের ক্ষমতা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। দাবিতে বলা হয়েছে, সাধারণত ১৮ দশমিক ৫ কিলোওয়াটের পাম্প স্থাপন করা আছে, যা ৩০ কেভিএ (৩টি ১০ কেভিএ) সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফর্মার দ্বারা পরিচালনা করা হয়। কর্র্তৃপক্ষ বলছে, শুধু সোলার পাওয়ার দ্বারা সেচযন্ত্র চালানো যাবে না। ফলে সোলার গ্রিড নিয়ে নির্দেশিকার অংশটি সংশোধন করা যেতে পারে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রাজশাহী-রংপুরে সেচ নিয়ে উদ্বেগে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ৬ লাখ হেক্টর জমিতে ষোলো হাজার ১৭৪টি সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। তবে এবার কৃষকদের জন্য বিএমডিএর এই সেচসেবা অব্যাহত রাখা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) নির্দেশনা মোতাবেক বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের আওতাধীন সমিতিগুলো থেকে বিশেষ ছাড় চেয়েছে বিএমডিএ।

এ বিষয়ে বিএমডিএ গত ১৯ নভেম্বর বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়, বিএমডিএ স্ব-অর্থায়নের পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। কৃষকদের সেচসেবা দেওয়ার মাধ্যমে আদায়কৃত অর্থে সেচযন্ত্র রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনা ব্যয়, অফিস পরিচালনা ব্যয় ও কর্মরত জনবলের বেতন সুবিধা প্রদান করে। এমনকি কর্মকর্তাদের অবসরকালীন সুবিধাসহ সব ব্যয় নির্বাহ করা হয়। তবে বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী বিএমডিএর প্রাপ্ত সুবিধাগুলো না দেওয়ায় সংকটের পড়েছে সংস্থাটি। ফলে বিইআরসির নির্দেশনা ছাড়াও কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিতরণ কর্র্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিএমডিএ বিশেষ ছাড় চায়।

বিএমডিএ বলছে, বিভিন্ন সময়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি, সেচযন্ত্রের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরমত ব্যয় বৃদ্ধি পেলেও শুধু কৃষকদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবেÑ এই বিবেচনায় তারা সেচচার্জ বৃদ্ধি করছে না। কারণ সেচে প্রয়োজনীয় চার্জ বাড়ানো হলে কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে। এদিকে বর্তমান কর্তৃপক্ষের আর্থিক অবস্থাও শোচনীয়। ফলে ১০ শতাংশ হারে বাট্টা (ডিসকাউন্ট) প্রদান চালুসহ ‘নো লোড লস’ বাবদ গৃহীত অর্থ ফেরত বা সমন্বয়, একই সঙ্গে এলটি-বি (সেচ বা কৃষি কাজ) শ্রেণির গ্রাহক হিসেবে অন্যান্য গ্রাহকের ন্যায় বিএমডিএর সুবিধা প্রদান করার দাবি করেছে। যদি না করা হয়, তবে কৃষি সেচসেবা অব্যাহত রাখা কর্তৃপক্ষের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।

বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এই পত্রে বিদ্যুৎ সচিবের কাছে আবেদন করা হয়েছে। যাতে বিএমডিএ আওতাধীন এলাকায় ফসল উৎপাদন ব্যাহত না হয়, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলের ৬ লাখ হেক্টর জমিতে ষোলো হাজার ১৭৪টি সেচযন্ত্রের মাধ্যমে জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করে আসছে। তবে এসব সেচ সুবিধা দিতে গিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি এবং রাজশাহী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানি নর্র্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) সঙ্গে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

বিএমডিএ বিদ্যুৎ সচিবকে জানিয়েছে যে ২০১৩ সালে সংস্থাটির সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই অ-সেচ মৌসুমে (মে-নভেম্বর) বিএমডিএ কর্তৃক পরিচালিত সেচযন্ত্রের প্রতিটি ট্রান্সফরমারের বিপরীতে অতিরিক্ত ৪৬ ইউনিট নো-লোড যোগ করে বিদ্যুৎ বিল প্রদার করা হয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিএমডিএর আপত্তি উপেক্ষা করে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) এ বিল গ্রহণ করে। পরে বিএমডিএ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে আবেদন করলে কমিশন ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল বিএমডিএর ‘এলটি-বি’ সেচ/কৃষি কাজের ব্যবহৃত পাম্প শ্রেণির বিদ্যুৎ বিলে ‘নো লোড’ আরোপ করবে না এমন সিদ্ধান্ত প্রদান করে। ফলে বিএমডিএ কর্র্তৃপক্ষ ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত নো-লোড লস বিল বাবদ আদায়কৃত ২১ দশমিক ১৩ কোটি টাকা বিএমডিএর অনুকূলে ফেরত বা সমন্বয় দাবি করছে।

এ ছাড়া বিএমডিএ নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন সময়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ২০০ কিলোমিটার বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ, পাঁচটি ৫ দশমিক শূন্য এমভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন স্থাপন করে পবিসের নিকট হস্তান্তর করেছে। পবিস এই বৈদ্যুতিক লাইন ব্যবহার করে অনেক গ্রাম বিদ্যুতায়ন করেছে। বিএমডিএ হস্তান্তরিত বৈদ্যুতিক লাইনের আওতায় সেচযন্ত্রের বিদ্যুৎ বিল হতে ১০ শতাংশ হারে বাট্টা প্রদান করা হতো। কিন্তু পবিস পরে সেই বাট্টা ৫ শতাংশে নামিয়ে আনে। এক পর্যায়ে ২০০৯ সাল থেকে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড বিলে বাট্টা প্রদান বন্ধ করে দেয়।

বিএমডিএ দাবি করেছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত যে পরিমাণ বিদ্যুৎ বিল প্রদান করা হয়েছে, সেখানে বাট্টা বাবদ প্রায় ৮৭ কোটি টাকা পাবে। একই সঙ্গে বিএমডিএ এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এলটি-বি লাইন মেরামত করতে যেন পল্লী বিদ্যুতায়ন সমিতিগুলো থেকে প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া নামিয়ে রাখা ট্রান্সফরমার পুনঃউত্তোলন বাবদ ১৬শ টাকা এবং ট্রান্সফরমার টেস্ট বাবদ ৫ হাজার ১৭৫ টাকা ফি নেওয়া হয়। ফলে পাবনা পবিস-১ ও ২ ব্যতীত রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে এ সংক্রান্ত কোনো চার্জ যেন আরোপ না করে।

এদিকে বিএমডিএ নর্দান ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) কাছে সেচকাজের বিপরীতে প্রদানকৃত বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ রিবেট দাবি করেছে। এ ছাড়া সেচকাজে নেট মিটারিংয়ে বিষয়ে সোলার ইরিগেশন গ্রিড ইন্টিগেশনের ক্ষমতা উন্মুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। দাবিতে বলা হয়েছে, সাধারণত ১৮ দশমিক ৫ কিলোওয়াটের পাম্প স্থাপন করা আছে, যা ৩০ কেভিএ (৩টি ১০ কেভিএ) সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফর্মার দ্বারা পরিচালনা করা হয়। কর্র্তৃপক্ষ বলছে, শুধু সোলার পাওয়ার দ্বারা সেচযন্ত্র চালানো যাবে না। ফলে সোলার গ্রিড নিয়ে নির্দেশিকার অংশটি সংশোধন করা যেতে পারে।