বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মেহেদী হাসানের ঘূর্ণিতে বেশ চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে একপাশ আগলে রেখে দলকে জয়ের খুবই কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন রোভম্যান পাওয়েল। কিন্তু শেষ তিন ওভারে বাংলাদেশের তিন পেসারের দাপটে জয়ের দেখা পায় টাইগাররা।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এ জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা।
আজ সোমবার সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে খেলতে নামে দুদল। বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। যেখানে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় উইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান করে টাইগাররা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৪০ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ১৫ রানে ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস আকিল হোসেনের বলে ফিরে যান। আফিফও দ্রুত ফিরে যান। কিন্তু একপাশ আগলে রেখে হাল ধরেন সৌম্য সরকার। তিনি ওবেদ ম্যাককয়ের বলে আউট হওয়ার আগে ৪৩ রান করেন। ৩২ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই ইনিংস সাজান।
শেষ দিকের তিন ব্যাটারের ব্যাটে দেড়শ ছুঁই ছুঁই ইনিংস জোগাড় করতে পারে বাংলাদেশ। জাকের আলী ২৭ বলে ২৭ রান করেন। মেহেদী হাসান ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। আর ১৩ বলে ঝড়ো ২৭ রান করেন শামীম হোসেন।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট পান আকিল হোসেন ও ওবেদ ম্যাককয়।
১৪৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা উন্ডিজ দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায়। ওপেনার ব্র্যান্ডন কিংকে ১ রানে ফেরান তাসকিন। দারুণ বল করা এই পেসার নিজের প্রথম দুই ওভারে মাত্র ৩ রান দেন।
এরপর শুরু হয় মেহেদী ঘূর্ণি। এই ডানহাতি স্পিনার একে একে তুলে নেন নিকোলাস পুরান, জনসন চার্লস, রোস্টন চেজ ও আন্দ্রে ফ্লেচারকে। কোনঠাসা উইন্ডিজ দলীয় ৬১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে।
তবে সহজেই হাল ছাড়েননি অধিনায়ক পাওয়েল। অষ্টম উইকেট জুটিতে রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে ৬৭ রান তোলেন। যা ক্যারিবীয়দের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে রেকর্ডও। আগেরটি ছিল ৫৮ রান, শেফার্ড ও ওডেন স্মিথ জুটির। কিন্তু শেষ দিকে তাসকিনের বলে শেফার্ড ২২ রানে ফিরলে ছন্দ পতন হয়। আর ২০তম ওভারে পাওয়েলকে হাসান ফেরালে সহজ জয়ই নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। পাওয়েল ৩৫ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬০ রান করেন।
৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন মেহেদী। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফর্ম করে ম্যাচ সেরাও হন এই স্পিন অলরাউন্ডার।