ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস’ বাংলাদেশে ব্যবসা করার অনুমোদন পেল স্টারলিংক ইসলামী ব্যাংকের এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটি ভর্তি বাণিজ্য : সাবেক সচিব মোরশেদ ও আইডিয়ালের অধ্যক্ষসহ আসামি ১১ চাকরিচ্যুত বিডিআির সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে কর্মসূচি পিলখানা হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত জওয়ানরা এখনও বেপরোয়া বিদেশি শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক ৯ এপ্রিল জাতীয় স্টেডিয়ামে হামজাদের ম্যাচ আয়োজনে কোনো অসুবিধা নেই নির্বাচনের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে: সিইসি ফিলিস্তিনের পশুরাও রেহাই পাচ্ছে না ইসরায়েলি বর্বরতা থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থনীতিতে আইএমএফ সন্তুষ্ট: অর্থ উপদেষ্টা

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢল

ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

পর্যটকের কেউ কেউ সাগরের ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে টিউব নিয়ে সাঁতার কেটে উপভোগ করছেন স্বচ্ছ সাগরের জলরাশি। আবার অনেকেই জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছেন ঢেউয়ের তালে তালে।

সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, কিটকিটে বসে সাগরের শীতলতা উপভোগেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। ঈদ উৎসব ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে ছিল সব বয়সী মানুষের আনন্দ-উল্লাস।ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‌‘সারা বছরই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি তাই ঈদের টানা ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।

সমুদ্রপারে ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে জলকেলিতে মেতে ছিলেন ফরিদপুর থেকে আগত পর্যটক প্রিন্স। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার এসে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন একেবারে জুড়িয়ে যায়, তাই প্রতিবছর অন্তত একবার হলেও এখন আসার চেষ্টা করি।’

গাজীপুর থেকে থেকে এসেছেন মোহাম্মদ কবির। তিনি বলেন, ‘ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে আসছি।

সাগরের গর্জন শুনে আর সাগরের নীল জলরাশিরে পা ভেজাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।’কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছেন।’

কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্র গোসল।

আর তাদের এইসমুদ্র গোসল নিরাপদ করতে কাজ করছে সী-সেইফ লাইফ গার্ড। সংস্থাটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নান নিশ্চিত করতে সমুদ্রসৈকতের তিনটি জনপ্রিয় পয়েন্ট সুগন্ধা, কলাতলীও লাবণী পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ২৭ জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া সমুদ্র স্নানে নেমে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আগত পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।’ পর্যটকেরা কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব কিছু করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ‘আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ট্রাম্পকে চিঠি দেবেন ড. ইউনূস’

ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ঢল

আপডেট টাইম : ০৩:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয় দিন সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, কলাতলী পয়েন্টসহ আশপাশের পর্যটন স্পটগুলোতে লোকে-লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

পর্যটকের কেউ কেউ সাগরের ঢেউয়ে শরীর ভিজিয়ে টিউব নিয়ে সাঁতার কেটে উপভোগ করছেন স্বচ্ছ সাগরের জলরাশি। আবার অনেকেই জেড স্কিতে চড়ে ঘুরে আসছেন ঢেউয়ের তালে তালে।

সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘোরাফেরা, কিটকিটে বসে সাগরের শীতলতা উপভোগেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে। ঈদ উৎসব ঘিরে কক্সবাজার সৈকতে ছিল সব বয়সী মানুষের আনন্দ-উল্লাস।ঢাকা থেকে আগত পর্যটক সৈয়দ হোসেন বলেন, ‌‘সারা বছরই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকি তাই ঈদের টানা ছুটিতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে এসেছি। অনেক ভালো লাগছে।

সমুদ্রপারে ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে জলকেলিতে মেতে ছিলেন ফরিদপুর থেকে আগত পর্যটক প্রিন্স। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার এসে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মন একেবারে জুড়িয়ে যায়, তাই প্রতিবছর অন্তত একবার হলেও এখন আসার চেষ্টা করি।’

গাজীপুর থেকে থেকে এসেছেন মোহাম্মদ কবির। তিনি বলেন, ‘ছুটি কাটাতে পরিবার নিয়ে কক্সবাজারে আসছি।

সাগরের গর্জন শুনে আর সাগরের নীল জলরাশিরে পা ভেজাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।’কক্সবাজার আবাসিক হোটেল, মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘আজ ঈদের পরের দিন সকাল থেকে পর্যটকরা আসতে শুরু করেছে। এই মুহূর্তে তারকা মানের হোটেলগুলো প্রায় বুকিং রয়েছে। তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে হোটেল ভাড়া বেশি নিচ্ছেন।’

কক্সবাজার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ সমুদ্র গোসল।

আর তাদের এইসমুদ্র গোসল নিরাপদ করতে কাজ করছে সী-সেইফ লাইফ গার্ড। সংস্থাটির ফিল্ড টিম ম্যানেজার ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আগত পর্যটকদের নিরাপদ সমুদ্র স্নান নিশ্চিত করতে সমুদ্রসৈকতের তিনটি জনপ্রিয় পয়েন্ট সুগন্ধা, কলাতলীও লাবণী পয়েন্টে লাইফ গার্ডের ২৭ জন সদস্য কাজ করছে। এছাড়া সমুদ্র স্নানে নেমে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে সে জন্য আগত পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মহমুদ বলেন, ‘কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকদের সুবিধার জন্য সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা পুলিশের সহযোগিতায় পর্যটন এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।’ পর্যটকেরা কক্সবাজার ভ্রমণ শেষে নিরাপদে বাড়িতে ফিরতে পারেন সে জন্য যা যা করার প্রয়োজন সব কিছু করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।