বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পেঁয়াজের দামে দীর্ঘদিন স্থিতিশীলতা থাকলেও গত তিন দিন ধরে বেড়েছে অত্যাবশ্যকীয় এ পণ্যটির দাম।
গত সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৪০ টাকায়।
চট্টগ্রামের বৃহত্তম কাঁচাবাজার রিয়াজউদ্দিন বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী শাহজাহান শাকিল বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পেঁয়াজ।
হঠাৎ করে বেশি দাম কেন- জানতে চাইলে শাকিল বলেন, কিছুদিন আগের জলাবদ্ধতায় খাতুনগঞ্জের মজুদ কাঁচাপণ্যের ক্ষতি হয়েছে। সেটার কারণে দাম বাড়ছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
শাহজাহান শাকিলের দোকানে পেঁয়াজ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা। তবে ভালো মানের ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেশি পেঁয়াজের খুব একটা চোখে পড়েনি। প্রায় সব পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরাই ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
অন্যদিকে বৃষ্টির বিরতিতে সরবরাহ বাড়লেও কমেনি সবজির দাম। কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে কাঁচামরিচ।
গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ মানভেদে ৯০ থেকে ১৩০ টাকা বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
সবজির মধ্যে বেগুন বিক্রি হচ্ছে আগের দাম ৬০ টাকায়, বরবটিও বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের দামেই। গত সপ্তাহে বরবটি বিক্রি হয়েছিল ৭০ টাকায়, এ সপ্তাহেও সেটি একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
হেরফের হয়নি পটল, ঢেড়শ, চিচিঙ্গা ও ঝিঙের দামেও।
গত সপ্তাহের মতই ঢেড়শ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় ও ঝিঙে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি পণ্যে অস্থিরতা থাকলেও স্বস্তি দিচ্ছে মাছ ও মাংসের বাজার।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১৫০ টাকায়, সোনালী মুরগি পাওয়া যাচ্ছে বরাবরের মত একই দামে ২২০ টাকায়; দেশি মুরগি মিলছে ৩৫০ টাকা কেজিতে।
এছাড়াও মাছের বাজারে লইট্টা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিতে ৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা ও রুই ২২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে গরুর মাংসের দামে কোনো হেরফের হয়নি। হাঁড়ছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা ও হাঁড়সহ পাওয়া যাচ্ছে ৫০০ টাকায়।