বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আবারো জাতীয় ঐক্যের ডাক দিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি বি. চৌধুরী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। গতকাল গণমাধ্যমে দেয়া এক যৌথ ঘোষণায় তারা এই ঐক্যের ডাক দেন। বি. চৌধুরীর প্রেস সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমরা তো দীর্ঘদিন ধরেই একটি জাতীয় ঐক্যের কথা বলে এসেছি। এটি আজকে যৌথভাবে দিলাম। আর এটি একেবারেই প্রাথমিক আহ্বান, সবাই আমাদের ডাকে আশা করি সাড়া দেবে। যৌথ ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতার পটভূমি ব্যাখ্যা করে বলা হয় ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে মুক্তিকামী জনতার আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশের জনগণ জাতীয় স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তে লেখা সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানে স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করা হয়েছে যে, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এতে বলা হয়, জনগণ সে ক্ষমতা প্রয়োগ করবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সংবিধানের আলোকে জনগণের মৌলিক চাহিদা, ন্যায্য অধিকার ও আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনগণের পক্ষে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করবে। স্বাধীনতার লক্ষ্য, চেতনা ও মূল্যবোধকে অবহেলা করা হলে কিংবা জনগণের অধিকারগুলো বাস্তবায়িত না হলে বুঝতে হবে জনগণ ক্ষমতার মালিকানা হারাতে বসেছে। এ পরিস্থিতিতে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি অহিংস বিকল্প রাজনৈতিক ধারা গড়ে তোলা সময়ের দাবি। ঐক্যবদ্ধ জনগণকে একটি মহাশক্তি উল্লেখ করে যৌথ ঘোষণায় এই দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আরো বলেন, জনগণের ঐক্যবদ্ধ শক্তির কাছে পৃথিবীতে অনেককেই মাথা নত করতে দেখেছি। ৫২ থেকে ৯০ এর বিভিন্ন গণআন্দোলনে এবং ৭১-এর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ জনগণ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের জনগণকে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার অর্থবহ পরিবর্তনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যৌথ ঘোষণায় তারা আরো বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির অংশগ্রহণ এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থার দাবিতে এবং দারিদ্র্যমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি ছাত্র সমাজ, শিক্ষিত ও সুধীজন, আইনজ্ঞ, চিকিৎসক, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, কৃষক, সাবেক সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্য পেশাজীবী মানুষের সমন্বয়ে বৃহত্তম একটি রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটাতে হবে। দেশের এই শীর্ষ দুই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, দেশকে যারা ভালোবাসেন, যারা দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী তাদেরকে একটি প্রগতিশীল, পাহাড় ও সমতলের মানুষসহ সব সম্প্রদায়ের পূর্ণ অধিকারসম্পন্ন একটি বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এর আগে ২০১২ সালে একটি হোটেলে এবং পরবর্তী সময়ে প্রেস ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সংবাদ শিরোনাম :
ভুয়া মামলা: আগে করত পুলিশ, এখন করছে পাবলিক
দেড় দশক পর লাল-তালিকামুক্ত পাকিস্তানি পণ্য
সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেস মিনিস্টার নিয়োগ
শীতের আগে জ্বর-ঠান্ডা: তুলসীতে মিলবে উপকার
আমাকে দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
রাত পোহালেই মাঠে নামবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবি প্রক্টর গ্রেপ্তার
প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি নিয়োগ
‘বউ সাজা’ সেই অভিনেত্রী খুঁজছেন পাত্র
ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমল আরও ৫ শতাংশ
ফের জাতীয় ঐক্যের ডাক বি. চৌধুরী ও ড. কামালের
- বাঙ্গালী কণ্ঠ ডেস্ক
- আপডেট টাইম : ০৪:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০১৭
- 479
Tag :
জনপ্রিয় সংবাদ