ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বায়তুল মোকাররমে জুমার খুতবা ইফতার মাহফিলে অপব্যয় উচিত নয়

রোজার প্রথম ১০ দিনে যারা রহমত থেকে বঞ্চিত হয় তারা মাগফিরাত পাবে না। আর যারা মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত হবে তারা নাজাত পাবে না। শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার খুতবা-পূর্ববর্তী বয়ানে পেশ ইমাম মাওলানা মহিবুল্লাহিল বাকী এসব কথা বলেন।

বয়ানে ইমাম বলেন, রমজান ইবাদতের মাস। উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অনেক টাকা ব্যয় করে ইফতার মাহফিলের নাম রমজান নয়। ইফতার মাহফিলের নামে অপব্যয় করা ঠিক নয়। রোজায় পরিমিত খাবার গ্রহণ জরুরি, যাতে ইবাদতের জন্য রাত্রি জাগরণ করা সম্ভব হয়। রোজায় অধিক হারে খাবার বর্জন করতে হবে। আমাদের দেশে দেখা যায়, রোজা এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এ দাম বাড়ার কারণ- চাহিদা বাড়ে। কিন্তু রোজার শিক্ষা এটা নয়। রোজা আমাদের কৃচ্ছ তাসাধন করতে শেখায়।

তিনি বলেন, রোজা রাখার অর্থ এ নয় যে, খাবারের সময় পরিবর্তন করা। আগে সকালে-দুপুরে খেতাম, এখন সন্ধ্যায় খাচ্ছি- এটা তখনই হয়, যখন আপনার রোজা আপনাকে খারাপ কাজ থেকে, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে না পারে। একজন রোজাদার রোজার মাধ্যমে পরিপূর্ণ তাকওয়া অর্জন করবেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর বিধিনিষেধ মেনে চলবেন। আল্লাহ যেটা করতে বলেছেন সেটা করবেন, যেটা নিষেধ করেছেন সেটা থেকে বিরত থাকবেন।

মাওলানা মহিবুল্লাহিল বাকী বলেন, আমরা এখন শতভাগ আল্লাহর ওপর নির্ভর করি না। ব্যবসা-বাণিজ্যে সুদের ওপর নির্ভর করি। চাকরিতে ঘুষের ওপর নির্ভর করি। দুনিয়াবি বিভিন্ন ক্ষেত্রে হারামের ওপর নির্ভর করি। আমরা মনে করি, সুদ আমাকে রিজিক দেবে, ঘুষ আমাকে রিজিক দেবে। এসব কারণে আমাদের আত্মা দুর্বল হয়ে পড়ে। আর আত্মা দুর্বল হলে ঈমানও দুর্বল হয়। কিন্তু একজন মোমিন সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল থাকেন। আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতায় মোমিনের ঈমানের দৃঢ়তা বাড়ে। রোজাদার একজন মোমিন যদি আরেকজন ক্ষুধার্থ মানুষের কষ্ট না বোঝেন, মোমিনের কষ্ট না বোঝেন তাহলে রোজা থাকা আর না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

রোজার মাসে কৃচ্ছ তাসাধন করে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারলেই মাগফিরাত পাব। আর মাগফিরাত পেলে নাজাত পাব। আল্লাহ সবাইকে রোজা রেখে মাগফিরাত অর্জন করার তৌকিফ দান করুন।

এদিকে হাইকোর্ট মাজার মসজিদের খতিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমাদ হাসান চৌধুরী শুক্রবার জুমার নামাজের আগে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।

শুরুতেই তিনি পবিত্র কোরআন থেকে সূরা বাকারার ১৮৩নং আয়াত তেলাওয়াত করেন। যার অর্থ, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। আশা করা যায়, তোমরা আল্লাহভীরু হবে।’ এরপর তেলাওয়াত করেন সূরা বাকারার ১৮৫নং আয়াত। যার অর্থ, ‘এ সেই রমজান মাস! যে মাসে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন, যা মানব জাতির জন্য হেদায়েত এবং সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ।’

তিনি বলেন, শবেবরাতের পর মাহে রমজান পেয়েছি। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করতে হবে। শোকরিয়ার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার নেয়ামত বাড়িয়ে দেন। সূরা ইবারাহিমের ৭নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, তবে আমি তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে আমার শাস্তি বড় কঠিন।’ রমজানে নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের অনেক পথ রয়েছে। সঠিকভাবে রোজা রাখা, কোরআন তেলাওয়াত করা, অন্যায় ও মিথ্যা থেকে বিরত থেকে রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া।

তিনি নবী (সা.) এর হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি ভালো কাজের সওয়াব ১০ থেকে ২৭ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ বলেন, রোজা এর ব্যতিক্রম। কারণ রোজা আমার জন্য, আর আমিই এর প্রতিদান দেব। সে তার প্রবৃত্তি ও পানাহারকে আমার জন্যই বর্জন করেছে।’ এ হাদিসের ব্যাখ্যা করে খতিব বলেন, আল্লাহ নিজেই রোজার পুরস্কার দেবেন। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন রোজা বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’

মাহে রমজান গোনাহ মাফের মাস। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাস। যে রমজান পেয়েও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পারল না রাসুল (সা.) তার জন্য ধ্বংস কামনা করেছেন। আমরা অনেকেই রোজা রাখি আবার মিথ্যা কথাও বলি, গিবতও করি। এভাবে রোজা রেখে প্রকৃতপক্ষে কোনো ফায়দা হবে না।

মাওলানা আহামাদ হাসান চৌধুরী আরেকটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, ‘যে রোজা রেখে মিথ্যা বলল, অন্যায় কাজ করল, তার রোজা রাখা, পানাহার ও কামাচার বর্জন করায় আল্লহার কোনো প্রয়োজন নেই।’

রমজানের পুরো সময় কোরআনের সঙ্গে থাকার পরমার্শ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে কোরআনের সঙ্গে থাকা অনেক সহজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি অক্ষর পড়বে বিনিময়ে তাকে একটি সওয়াব দেয়া হবে। আর প্রতিটি সওয়াব দশগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে।’ অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের জ্ঞানী হবে, কেয়ামতের দিন সে সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে।’

বর্তমান সমাজের ক্ষয়িষ্ণু চেহারার কথা ভেবে তিনি বলেন, ইফতারের আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়ার অভ্যাস করুন। যাতে করে আল্লাহর কাছে চাওয়ার গুণ তারা অর্জন করতে পারে। রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেন। তাই মোমিন বান্দাও খুশি হন। সিয়াম পালন করে বান্দা যেভাবে আল্লাহর কাছ থেকেই প্রাপ্তি আশা করে, তেমনি জীবনভর আল্লাহর কাছেই যেন চাইতে পারে- পবিত্র রোজা আমাদের এ শিক্ষাই দেয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বায়তুল মোকাররমে জুমার খুতবা ইফতার মাহফিলে অপব্যয় উচিত নয়

আপডেট টাইম : ০৬:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জুন ২০১৬

রোজার প্রথম ১০ দিনে যারা রহমত থেকে বঞ্চিত হয় তারা মাগফিরাত পাবে না। আর যারা মাগফিরাত থেকে বঞ্চিত হবে তারা নাজাত পাবে না। শুক্রবার বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার খুতবা-পূর্ববর্তী বয়ানে পেশ ইমাম মাওলানা মহিবুল্লাহিল বাকী এসব কথা বলেন।

বয়ানে ইমাম বলেন, রমজান ইবাদতের মাস। উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে অনেক টাকা ব্যয় করে ইফতার মাহফিলের নাম রমজান নয়। ইফতার মাহফিলের নামে অপব্যয় করা ঠিক নয়। রোজায় পরিমিত খাবার গ্রহণ জরুরি, যাতে ইবাদতের জন্য রাত্রি জাগরণ করা সম্ভব হয়। রোজায় অধিক হারে খাবার বর্জন করতে হবে। আমাদের দেশে দেখা যায়, রোজা এলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। এ দাম বাড়ার কারণ- চাহিদা বাড়ে। কিন্তু রোজার শিক্ষা এটা নয়। রোজা আমাদের কৃচ্ছ তাসাধন করতে শেখায়।

তিনি বলেন, রোজা রাখার অর্থ এ নয় যে, খাবারের সময় পরিবর্তন করা। আগে সকালে-দুপুরে খেতাম, এখন সন্ধ্যায় খাচ্ছি- এটা তখনই হয়, যখন আপনার রোজা আপনাকে খারাপ কাজ থেকে, অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে না পারে। একজন রোজাদার রোজার মাধ্যমে পরিপূর্ণ তাকওয়া অর্জন করবেন। এর মাধ্যমে আল্লাহর বিধিনিষেধ মেনে চলবেন। আল্লাহ যেটা করতে বলেছেন সেটা করবেন, যেটা নিষেধ করেছেন সেটা থেকে বিরত থাকবেন।

মাওলানা মহিবুল্লাহিল বাকী বলেন, আমরা এখন শতভাগ আল্লাহর ওপর নির্ভর করি না। ব্যবসা-বাণিজ্যে সুদের ওপর নির্ভর করি। চাকরিতে ঘুষের ওপর নির্ভর করি। দুনিয়াবি বিভিন্ন ক্ষেত্রে হারামের ওপর নির্ভর করি। আমরা মনে করি, সুদ আমাকে রিজিক দেবে, ঘুষ আমাকে রিজিক দেবে। এসব কারণে আমাদের আত্মা দুর্বল হয়ে পড়ে। আর আত্মা দুর্বল হলে ঈমানও দুর্বল হয়। কিন্তু একজন মোমিন সর্বক্ষেত্রে আল্লাহর ওপর নির্ভরশীল থাকেন। আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতায় মোমিনের ঈমানের দৃঢ়তা বাড়ে। রোজাদার একজন মোমিন যদি আরেকজন ক্ষুধার্থ মানুষের কষ্ট না বোঝেন, মোমিনের কষ্ট না বোঝেন তাহলে রোজা থাকা আর না থাকার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

রোজার মাসে কৃচ্ছ তাসাধন করে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা আল্লাহর রহমত অর্জন করতে পারলেই মাগফিরাত পাব। আর মাগফিরাত পেলে নাজাত পাব। আল্লাহ সবাইকে রোজা রেখে মাগফিরাত অর্জন করার তৌকিফ দান করুন।

এদিকে হাইকোর্ট মাজার মসজিদের খতিব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাওলানা আহমাদ হাসান চৌধুরী শুক্রবার জুমার নামাজের আগে গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করেন।

শুরুতেই তিনি পবিত্র কোরআন থেকে সূরা বাকারার ১৮৩নং আয়াত তেলাওয়াত করেন। যার অর্থ, ‘হে ঈমানদাররা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। আশা করা যায়, তোমরা আল্লাহভীরু হবে।’ এরপর তেলাওয়াত করেন সূরা বাকারার ১৮৫নং আয়াত। যার অর্থ, ‘এ সেই রমজান মাস! যে মাসে নাজিল করা হয়েছে আল কোরআন, যা মানব জাতির জন্য হেদায়েত এবং সুস্পষ্ট পথ নির্দেশ।’

তিনি বলেন, শবেবরাতের পর মাহে রমজান পেয়েছি। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করতে হবে। শোকরিয়ার মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার নেয়ামত বাড়িয়ে দেন। সূরা ইবারাহিমের ৭নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যদি তোমরা আমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো, তবে আমি তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেব। আর যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে আমার শাস্তি বড় কঠিন।’ রমজানে নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের অনেক পথ রয়েছে। সঠিকভাবে রোজা রাখা, কোরআন তেলাওয়াত করা, অন্যায় ও মিথ্যা থেকে বিরত থেকে রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ হওয়া।

তিনি নবী (সা.) এর হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে রোজার ফজিলত সম্পর্কে বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তানের প্রতিটি ভালো কাজের সওয়াব ১০ থেকে ২৭ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। আল্লাহ বলেন, রোজা এর ব্যতিক্রম। কারণ রোজা আমার জন্য, আর আমিই এর প্রতিদান দেব। সে তার প্রবৃত্তি ও পানাহারকে আমার জন্যই বর্জন করেছে।’ এ হাদিসের ব্যাখ্যা করে খতিব বলেন, আল্লাহ নিজেই রোজার পুরস্কার দেবেন। অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘কেয়ামতের দিন রোজা বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে আল্লাহ! আমি তাকে পানাহার ও যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত রেখেছি। অতএব তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ গ্রহণ করুন।’

মাহে রমজান গোনাহ মাফের মাস। আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাস। যে রমজান পেয়েও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে পারল না রাসুল (সা.) তার জন্য ধ্বংস কামনা করেছেন। আমরা অনেকেই রোজা রাখি আবার মিথ্যা কথাও বলি, গিবতও করি। এভাবে রোজা রেখে প্রকৃতপক্ষে কোনো ফায়দা হবে না।

মাওলানা আহামাদ হাসান চৌধুরী আরেকটি হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে আরও বলেন, ‘যে রোজা রেখে মিথ্যা বলল, অন্যায় কাজ করল, তার রোজা রাখা, পানাহার ও কামাচার বর্জন করায় আল্লহার কোনো প্রয়োজন নেই।’

রমজানের পুরো সময় কোরআনের সঙ্গে থাকার পরমার্শ দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির কল্যাণে কোরআনের সঙ্গে থাকা অনেক সহজ।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের একটি অক্ষর পড়বে বিনিময়ে তাকে একটি সওয়াব দেয়া হবে। আর প্রতিটি সওয়াব দশগুণ বাড়িয়ে দেয়া হবে।’ অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোরআনের জ্ঞানী হবে, কেয়ামতের দিন সে সম্মানিত ফেরেশতাদের সঙ্গে থাকবে।’

বর্তমান সমাজের ক্ষয়িষ্ণু চেহারার কথা ভেবে তিনি বলেন, ইফতারের আগে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়ার অভ্যাস করুন। যাতে করে আল্লাহর কাছে চাওয়ার গুণ তারা অর্জন করতে পারে। রোজার পুরস্কার আল্লাহ নিজে দেন। তাই মোমিন বান্দাও খুশি হন। সিয়াম পালন করে বান্দা যেভাবে আল্লাহর কাছ থেকেই প্রাপ্তি আশা করে, তেমনি জীবনভর আল্লাহর কাছেই যেন চাইতে পারে- পবিত্র রোজা আমাদের এ শিক্ষাই দেয়।