বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিরাজগঞ্জ,বাহ্মণবাড়িয়া ও রাঙামাটিতে বিশ্ব ইজতেমার আদলে ৩দিন ব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়েছে আজ। গতকাল থেকেই ইজতেমা উপলক্ষে জেলাদ্বয়ের প্রত্যেক থানা-উপজেলা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা উপস্থিত হতে শুরু করেছে। আগামী শনিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হবে।
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্রসবার-৩ বাঁধের পাশে জেগে ওঠা বিশার মাঠে দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হলো এ ইজতেমা। আগের বারের চেয়ে এবার আয়োজনে দ্বিগুণ প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যমুনা নদীর পূর্ব পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্রসবার-৩ বাঁধের দক্ষিণে প্রায় ১৩ লাখ বর্গফুট জায়গার ওপর ইজতেমার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রায় দুই লাখ ধর্ম প্রাণ মুসলমানের জন্য ওজুখানা, গোসলখানা ও টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণকবাড়িয়ার সদর উপজেলার তিতাস নদীর তীরে অবস্থিত শালগাঁও কালিসীমা ঈদগা ময়দানে তিন দিনব্যাপী জেলা আঞ্চলিক ইজতেমাও শুরু হয়েছে আজ। সেখানেও গতকাল থেকেই ধর্মপ্রাণ মাসলমানগণ ইজতেমা মাঠে সমবেত হতে শুরু করেছে।
তিতাস নদীর তীরে প্রায় ২০ একর জায়গাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইজতেমার বিশালাকার প্যান্ডেল। আগত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অজু-গোসলের জন্য ৮টি পানির ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে ৮০০ টয়লেট।
প্রথমবারের মতো পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতেও আজ শুরু হয়ে ইজতেমা। শহরের প্রবেশ মুখ মানিকছড়ি বিসিক শিল্প নগরী মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে তাবলীগ জামাতের এ ইজতেমা।
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ভিড় কমাতে এবং স্থানীয় পর্যায়ে তাবলীগের কাজকে গতিশীল করতে ঢাকার কাকরাইল মার্কাজ মসজিদের তত্বাবধানে এ আঞ্চলিক ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটির ইজতেমায় প্রায় ২০ হাজার মুসল্লির সমাগম হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
এ তিন জেলার ইজতেমাকে সফল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ যাবতীয় সহযোগিতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।