ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন-টেকনাফের হ্নীলার মুফিজ আলম ও হেলাল উদ্দিন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে শিবিরের ভেতরে জুয়ার আসার বসাকে কেন্দ্র স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদা ও মুফিজ আলমের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ৮ জন আহত হয়। ওই দুই গ্রুপ লেদা রোহিঙ্গা শিবির নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তাদের বাইরে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে কেউ কিছু করতে পারে না। এমনকি ওই গ্রুপের লোকজন শিবিরের রোহিঙ্গাদেরকে ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) আতিক উল্লাহ বলেন, লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের দুইটি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে এসে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত

আপডেট টাইম : ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কক্সবাজারের টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় দুই গ্রুপের মধ্যে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন-টেকনাফের হ্নীলার মুফিজ আলম ও হেলাল উদ্দিন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদকে সামনে রেখে শিবিরের ভেতরে জুয়ার আসার বসাকে কেন্দ্র স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী নুরুল হুদা ও মুফিজ আলমের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় গ্রুপের ৮ জন আহত হয়। ওই দুই গ্রুপ লেদা রোহিঙ্গা শিবির নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। তাদের বাইরে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে কেউ কিছু করতে পারে না। এমনকি ওই গ্রুপের লোকজন শিবিরের রোহিঙ্গাদেরকে ইয়াবা পাচারের কাজে ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) আতিক উল্লাহ বলেন, লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের দুইটি গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে বিষয়টি আরো খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে প্রাণে বাঁচতে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে এসে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।