ঢাকা , সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসছে কঠোর কর্মসূচি ও নির্বাচনী রোডম্যাপ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি’কে নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ৭টি দাবি ও ১১টি লক্ষ্য ঘোষণা করেছে তারা। এসব বিষয়গুলি সামনে রেখে এই জোটের নেতারা আগামীতে নানা কর্মসূচি দেওয়ারও কথা জানান। আনুষ্ঠানিক যাত্রার পর এবার ভোটের অধিকার আদায়সহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করবে এই জোট। সে লক্ষ্যে প্রধান শরিক দল বিএনপির সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব আসন ভাগাভাগি কাজ চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে শারদীয় দুর্গাপূজার পর ধারাবাহিক কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারকরা। প্রয়োজনে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে ‘আন্দোলন এবং নির্বাচনে’র একটি রোডম্যাপ।

এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশের দিনই আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি। এখন দেখি সরকার কি করে। আমার মনে হয় সরকার এত সহজে আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেবে না। এজন্য জনমত গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে হবে। আমার বিশ্বাস মানুষের ঐক্যের কাছে সরকার আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে বাধ্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে বসে থাকব না। কর্মসূচি দেব। মানুষকে জাগ্রত করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাব। মানুষকে বোঝাব, এই ঐক্য কোনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থে নয়। এই ঐক্য জনগণের স্বার্থে।’

পূজার পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া কথা জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পূজার পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেব। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে গণসংযোগে বের হব।’

সভা-সমাবেশের অনুমতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের কথা জনগণের কাছে পৌঁছাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে দেখেছি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয় না। আমাদেরও দেয়নি। আগামীতেও হয়তো দেবে না। তবুও আমরা চেষ্টা করব শান্তিপূর্ণ উপায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে। সভা-সমাবেশ-গণসংযোগের মাধ্যমে মানুষের সামনে আমরা আমাদের কথাগুলো তুলে ধরব। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা এই ঐক্যকে সুসংহত করতে উদ্যোগ নেব।’

জানা গেছে, বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছে নতুন এই জোট। সেখানে জোটের ‘৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য’র প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আসছে কঠোর কর্মসূচি ও নির্বাচনী রোডম্যাপ

আপডেট টাইম : ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি’কে নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ৭টি দাবি ও ১১টি লক্ষ্য ঘোষণা করেছে তারা। এসব বিষয়গুলি সামনে রেখে এই জোটের নেতারা আগামীতে নানা কর্মসূচি দেওয়ারও কথা জানান। আনুষ্ঠানিক যাত্রার পর এবার ভোটের অধিকার আদায়সহ ৭ দফা দাবিতে আন্দোলনের প্রস্তুতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করবে এই জোট। সে লক্ষ্যে প্রধান শরিক দল বিএনপির সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব আসন ভাগাভাগি কাজ চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী জনমত গড়ে তুলতে শারদীয় দুর্গাপূজার পর ধারাবাহিক কর্মসূচি দেয়ার কথা ভাবছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নীতিনির্ধারকরা। প্রয়োজনে সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে শিগগিরই ঘোষণা করা হবে ‘আন্দোলন এবং নির্বাচনে’র একটি রোডম্যাপ।

এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশের দিনই আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া উত্থাপন করেছি। এখন দেখি সরকার কি করে। আমার মনে হয় সরকার এত সহজে আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেবে না। এজন্য জনমত গড়ে তুলতে হবে। মানুষের মধ্যে ঐক্য তৈরি করতে হবে। আমার বিশ্বাস মানুষের ঐক্যের কাছে সরকার আমাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে বাধ্য হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরে বসে থাকব না। কর্মসূচি দেব। মানুষকে জাগ্রত করতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাব। মানুষকে বোঝাব, এই ঐক্য কোনো ব্যক্তি বা দলের স্বার্থে নয়। এই ঐক্য জনগণের স্বার্থে।’

পূজার পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া কথা জানিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘পূজার পর আমরা আন্দোলনের কর্মসূচি দেব। আমরা আমাদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে গণসংযোগে বের হব।’

সভা-সমাবেশের অনুমতি শান্তিপূর্ণ উপায়ে তাদের কথা জনগণের কাছে পৌঁছাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে দেখেছি সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশের অনুমতি দেয় না। আমাদেরও দেয়নি। আগামীতেও হয়তো দেবে না। তবুও আমরা চেষ্টা করব শান্তিপূর্ণ উপায়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে। সভা-সমাবেশ-গণসংযোগের মাধ্যমে মানুষের সামনে আমরা আমাদের কথাগুলো তুলে ধরব। দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আজ ঐক্যবদ্ধ। আমরা এই ঐক্যকে সুসংহত করতে উদ্যোগ নেব।’

জানা গেছে, বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করার পরিকল্পনা করেছে নতুন এই জোট। সেখানে জোটের ‘৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য’র প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হবে।