বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ত্রিশোর্ধ্ব নারীর জন্য একটি আতঙ্কের নাম হলো ব্রেস্ট ক্যান্সার। দিনদিন এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ক্যান্সার ইন্ডিয়া ডট ও আরজি ডটইন এর রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু ২০১৮ সালেই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৬৮ জন মহিলা। মৃতের সংখ্যা ৮৭ হাজারের বেশি। এই রোগ নির্মূলের উপায় এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয়ের উপায়ও ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি।
এই দূরারোগ্য অসুখটি শরীরে বাসা বাঁধছে কি না যেসব লক্ষণ দেখে বুঝবেন-
১. ব্রেস্ট লাম্পগুলি অনেক সময় আন্ডার আর্ম বা কলার বোনের তলাতেও দেখা যায়। এছাড়া স্তনবৃন্তের আশপাশেও এই ধরনের লাম্প থাকে যেগুলি টিপলে শক্ত লাগে এবং অবস্থান পরিবর্তন করে না। এমনকিছু দেখলে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
৩. স্তনে টিউমার থাকলে তা আশপাশের ব্রেস্ট টিস্যুগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং তার ফলে স্তনে একটা ফোলা ফোলা ভাব দেখা যায়। এরই সঙ্গে স্তনে লাল ভাবও থাকে। স্তনে হাত দিলে বা চাপ দিলে ব্যথাও লাগে।
৪. কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে কারণ এই ক্যান্সার স্তন থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরের এই অংশগুলিতে।
৫. স্তনের আকার বিকৃতি হলে কখনোই অবহেলা করবেন না।
৬. অন্তর্বাস পরে থাকার সময় যদি কোনো ঘর্ষণ বা ছড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়, বিছানায় শোওয়ার সময় যদি ব্যথা লাগে তবে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেরি করবেন না।
৭. ব্রেস্ট ফিডিং করছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে অল্প অল্প দুধের মতো জলীয় পদার্থ নিঃসরণ হচ্ছে এমনটা দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাবেন। এটি ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম বড় লক্ষণ।
৮. স্তনবৃন্ত হল স্তনের অসম্ভব সংবেদনশীল অংশ। যদি দেখেন যে স্তনবৃন্ত স্পর্শ করলেও তেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে না, বা একেবারেই অনুভূতিহীন হয়ে গিয়েছে তবে তা ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি।
৯. স্তনের উপরের ত্বক খসখসে হয়ে যাওয়া (অনেকটা কমলালেবুর খোসার মতো) ক্যান্সারের প্রাথমিক স্টেজের লক্ষণ। এ ক্ষেত্রেও দেরি না করে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়াই ভালো।