বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রিয়জনকে কাছাকাছি পাওয়ার বাসনা সবার মনেই বিদ্যমান। আর ভালোবাসার মানুষকে একটু আধটু জড়িয়ে না ধরলে সে ভালোবাসায় জৌলুসতা বাড়ে না! তবে শুধু প্রেম নিবেদনের জন্যই নয় জানেন কী এই জড়ানোর পদ্ধতির একটি বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে। আসুন জেনে নিই কী সেই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা-
• প্রিয়জনকে আলতো করে ছুঁতে চাওয়ার ইচ্ছাই আপনাকে আরাম দেবে, রাখবে সুখে।
• আমরা যখন কখনো কারোকে জড়িয়ে ধরি তখন অক্সিটসিন হরমোন নিঃসারণ হয়। এই হরমোন আমাদেরকে মানসিকভাবে সুখি অনুভব করতে সাহায্য করে। এই হরমোন সামাজিক বন্ধন বাড়াতেও সাহায্য করে। কেন না নিউরো-পেপটাইড অক্সিটক্সিন হরমোন আমাদের মধ্যে সততা, অনুরাগ বাড়িয়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্ককে মজবুত করতে যা একান্তই প্রয়োজন।
• হাগ করা বা জড়ানো আপনার মনই নয় শরীরকেও ভাল রাখতে সাহায্য করে। যখন কেউ আপনাকে জড়ায় তখন ত্বকের মধ্যে থাকা পাসিনিয়ান কর্পাসেলস নামে প্রেসার রিসেপটর মস্তিষ্কে সংকেত পাঠিয়ে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। যা হার্টের ভাল থাকার পক্ষে খুবই জরুরি।
• হার্ট ভাল রাখতে জড়ানোর থেকে ভাল ওষুধ আর কিছু হতে পারে না। প্রিয়জনের ছোট্ট ছোঁয়া প্রতি মিনিটে হার্টের গতিবেগ বাড়িয়ে তোলে অন্তত ১০ বিট।
• প্রিয়জনের জড়ানো আপনাকে মানসিকভাবে ভাল রাখে। আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলে অকারণে ভয় পাওয়া কমিয়ে দেয়। প্রিয় মানুষদের জীবনে আপনার যে গুরুত্বপূর্ণ অস্তিত্ব আছে তা বোঝায়।
• মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় প্রকাশ, বয়সের সঙ্গে একাকীত্ব বাড়তে থাকে, যা স্ট্রেস বাড়িয়ে তোলে। আপনার একটা ছোট্ট হাগই আপনার প্রিয় মানুষটার একাকীত্ব কমিয়ে দিয়ে আপনাদের সম্পর্ককে আরো দৃঢ় করে তুলবে।
• যখন আমরা কাউকে জড়িয়ে ধরি তখন স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোল নিঃসারিত হয়। এই কর্টিসোল হরমোন আমাদের জীবনে স্ট্রেস এবং মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে তোলে। তাই যত বেশি আমরা জড়িয়ে ধরি তত কমে যায় কর্টিসোলের পরিমান। মানসিকভাবে শান্ত থাকতে সাহায্য করে ছোট্ট হাগ।