ঢাকা , সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিয়ালকে উড়িয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল বার্সা

টানা দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এবার স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ৫-২ গোলে জয় পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড কাতালান দলটি আরও সমৃদ্ধ করল ১৫তম ট্রফি জিতে।

এর আগে গত অক্টোবরে মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় লা লিগায় রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের চার গোলে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা।

রবিবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় ফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি গোলে স্কোরলাইন ৫-১ করে ফেলে তারা। খানিক বাদে তাদের গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর রদ্রিগোর গোলে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারে রিয়াল।

গত ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার চার গোল করেছিলেন আক্রমণভাগের তিন তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কি, রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল মিলে। এবারও জালের দেখা পান এই তিন জনের প্রত্যেকে। জোড়া গোল করেছেন রাফিনিয়া, একটি করে লেভানদোভস্কি, ইয়ামাল ও আলেহান্দ্রো বাল্দে।

স্প্যানিশ সুপার কাপের গত আসরের ফাইনালে সৌদি আরবেই রেয়ালের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। এবার মাদ্রিদের দলটিকে গুঁড়িয়ে মধুর প্রতিশোধও নিল তারা।

এদিন কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে পঞ্চম মিনিটেই নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস ধরে এগিয়ে যান ফরাসি ফরোয়ার্ড। ডিফেন্ডার বাল্দের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

বার্সেলোনা সমতায় ফেরে ২২তম মিনিটে, ইয়ামালের চমৎকার গোলে। লেভানদোভস্কির থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে আরও দুজনের মধ্যে দিয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার।

এরপর ৩৬তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি। রিয়ালের মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে গাভিকে ফাউল করলে শুরুতে সাড়া না দিলেও, ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে চালকের আসনে বসে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে জুল কুন্দের ক্রসে বক্সে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান রাফিনিয়া। প্রথমার্ধের ৯ মিনিট যোগ করা সময়ে বক্সের ভেতর থেকে বাল্দের কোনাকুনি শট এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান কোর্তোয়া। খানিক পরই জালের দেখা পান ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে শাণানো প্রতি-আক্রমণে রাফিনিয়ার পাস ধরে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

বিরতির পর ৪৭তম মিনিটে রদ্রিগোর একটি শট পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে আবার রিয়ালের জালে জড়ায় বল। নিজেদের অর্ধ থেকে মার্ক কাসাদোর পাস ধরে এগিয়ে যান রাফিনিয়া, বক্সে একজনকে কাটিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।

এদিকে বক্সের বাইরে এসে এমবাপ্পেকে ফাউল করে ৫৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পোলিশ গোলরক্ষক স্ট্যান্সনি। ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে রিপ্লে দেখে এই সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পরে গাভিকে তুলে নিয়ে ইনিয়াকি পেনিয়াকে পোস্ট সামলানোর জন্য নামান বার্সেলোনা কোচ। একই সঙ্গে ইয়ামালের বদলি নামেন দানি ওলমো।

ওই ফ্রি-কিকেই ব্যবধান কমান রদ্রিগো। বল পেনিয়ার হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে জালে জড়ায়। তবে বাকি সময়ে বার্সেলোনার ওপর চাপ বাড়ায় রিয়াল। তবে গোলের দেখা পায়নি তারা কিছুতেই। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বার্সেলোনা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

রিয়ালকে উড়িয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা জিতল বার্সা

আপডেট টাইম : ২ ঘন্টা আগে

টানা দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। এবার স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে ৫-২ গোলে জয় পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের রেকর্ড কাতালান দলটি আরও সমৃদ্ধ করল ১৫তম ট্রফি জিতে।

এর আগে গত অক্টোবরে মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোয় লা লিগায় রিয়ালের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের চার গোলে ৪-০ ব্যবধানে জিতেছিল বার্সেলোনা।

রবিবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় ফাইনালে শুরুতে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে প্রথমার্ধেই চার গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি গোলে স্কোরলাইন ৫-১ করে ফেলে তারা। খানিক বাদে তাদের গোলরক্ষক ভয়চেক স্ট্যান্সনি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর রদ্রিগোর গোলে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পারে রিয়াল।

গত ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার চার গোল করেছিলেন আক্রমণভাগের তিন তারকা রবের্ত লেভানদোভস্কি, রাফিনিয়া ও লামিনে ইয়ামাল মিলে। এবারও জালের দেখা পান এই তিন জনের প্রত্যেকে। জোড়া গোল করেছেন রাফিনিয়া, একটি করে লেভানদোভস্কি, ইয়ামাল ও আলেহান্দ্রো বাল্দে।

স্প্যানিশ সুপার কাপের গত আসরের ফাইনালে সৌদি আরবেই রেয়ালের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরেছিল বার্সেলোনা। এবার মাদ্রিদের দলটিকে গুঁড়িয়ে মধুর প্রতিশোধও নিল তারা।

এদিন কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে পঞ্চম মিনিটেই নিজেদের প্রথম আক্রমণ থেকেই কিলিয়ান এমবাপ্পের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের পাস ধরে এগিয়ে যান ফরাসি ফরোয়ার্ড। ডিফেন্ডার বাল্দের বাধা এড়িয়ে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

বার্সেলোনা সমতায় ফেরে ২২তম মিনিটে, ইয়ামালের চমৎকার গোলে। লেভানদোভস্কির থ্রু বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে আরও দুজনের মধ্যে দিয়ে বাঁ পায়ের নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ উইঙ্গার।

এরপর ৩৬তম মিনিটে সফল স্পট-কিকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন লেভানদোভস্কি। রিয়ালের মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা বক্সে গাভিকে ফাউল করলে শুরুতে সাড়া না দিলেও, ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি।

তিন মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে চালকের আসনে বসে বার্সেলোনা। ডান দিক থেকে জুল কুন্দের ক্রসে বক্সে চমৎকার হেডে বল জালে পাঠান রাফিনিয়া। প্রথমার্ধের ৯ মিনিট যোগ করা সময়ে বক্সের ভেতর থেকে বাল্দের কোনাকুনি শট এক হাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান কোর্তোয়া। খানিক পরই জালের দেখা পান ২১ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে শাণানো প্রতি-আক্রমণে রাফিনিয়ার পাস ধরে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

বিরতির পর ৪৭তম মিনিটে রদ্রিগোর একটি শট পোস্টে লাগে। পরের মিনিটে আবার রিয়ালের জালে জড়ায় বল। নিজেদের অর্ধ থেকে মার্ক কাসাদোর পাস ধরে এগিয়ে যান রাফিনিয়া, বক্সে একজনকে কাটিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি।

এদিকে বক্সের বাইরে এসে এমবাপ্পেকে ফাউল করে ৫৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পোলিশ গোলরক্ষক স্ট্যান্সনি। ভিএআরের সাহায্যে মনিটরে রিপ্লে দেখে এই সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। পরে গাভিকে তুলে নিয়ে ইনিয়াকি পেনিয়াকে পোস্ট সামলানোর জন্য নামান বার্সেলোনা কোচ। একই সঙ্গে ইয়ামালের বদলি নামেন দানি ওলমো।

ওই ফ্রি-কিকেই ব্যবধান কমান রদ্রিগো। বল পেনিয়ার হাত ছুঁয়ে পোস্টে লাগে জালে জড়ায়। তবে বাকি সময়ে বার্সেলোনার ওপর চাপ বাড়ায় রিয়াল। তবে গোলের দেখা পায়নি তারা কিছুতেই। শেষ বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মেতে ওঠে বার্সেলোনা।