বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি এবং তার পরিবারের সদস্যরা। অপপ্রচারের ভয়ে পরিবারের কোনো সদস্যই ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। অপপ্রচার এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে বাইরে বের হলে তারা হামলারও শিকার হতে পারে—এমন আশঙ্কার কারণে মিন্নির ভাই-বোন স্কুলেও যাচ্ছে না।
এদিকে ঘটনার সময়কার নতুন একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর মিন্নির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।সেইসঙ্গে বেড়ে গেছে অপপ্রচারের মাত্রা। অনলাইনে বেড়ে গেছে সমালোচনা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মিন্নিকে দোষারোপ করে মন্তব্য করছেন অনেকেই। জানা গেছে, নতুন ভিডিওটি প্রকাশের পর আরো ভেঙে পড়েছেন মিন্নি।
প্রশ্ন করা হলে বিড়বিড় করে সাংবাদিকদের মিন্নি বলেন, আমার স্বামীকে চোখের সামনে ওরা মেরে ফেলল। আমাকেও ওরা বাঁচতে দেবে না। যেভাবে আমার বিরুদ্ধে ওরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে,
তাতে করে আমাকেও ওরা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে। এক দিকে স্বামী হারানোর কষ্ট, আরেক দিকে অপপ্রচার, এর থেকে আমার মৃত্যুই ভালো। কারণ বিচারের আগেই ওরা আমাকে ফাঁসি দিয়ে দিল।
তবে নতুন ভিডিওটি সম্পর্কে তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিন্নির বাবা বলেন, ঘটনার পর থেকে একটি পক্ষ আমার মেয়েকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সেই মাত্রা দিনদিন বেড়েই চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার পরিবার নিয়ে এতটাই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে জনরোষের ভয়ে আমরা বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমার ছেলে-মেয়েরা ভয়ে স্কুলে যাচ্ছে না। তবে পুলিশ সুপার মহোদয় বলেছেন, ছেলে-মেয়েরা চাইলে পুলিশের সহযোগিতায় স্কুলে যেতে পারবে।
কিন্তু স্কুলের ভেতরে কে ওদের নিরাপত্তা দেবে।
এছাড়া অপপ্রচারের কারণে মিন্নির শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়স্বজনরাও যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে নতুন করে প্রকাশ্যে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, বরগুনায় শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফকে কলেজ থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় বেশ স্বাভাবিকভাবে খুনিদের পেছনে পেছনে হেটে যাচ্ছেন আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।
ভিডিওটি প্রকাশের পর বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। মিন্নি রিফাত হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী।
পুলিশের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের পরদিন থেকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেও পুলিশের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে ‘কো-অপারেট’ করছেন না মিন্নি। তার বাড়িতে গেলে সে ‘স্বামীর দুঃখে কাতর’ বলে পুলিশের সঙ্গে খুব বেশি কথা বলেনি। তবে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
নতুন ভিডিও