ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তারেককে দূর্নীতির বরপুত্র করার শোধ জয়ের ওপর নিতে চায় বিএনপি

তারেক রহমানকে দূর্নীতির বরপুত্র বানানোর শোধ এবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপর নিতে চায় বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যাপক প্রচারণায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি হাই কমাণ্ড। দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বয়ং নেতা–কর্মীদের এ নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি, নেতাদের দূর্নীতির অভিযোগ এনে জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে বলেছেন।

দলের দায়িত্বশীল নেতারা বলেছেন, বিএনপি জামায়ত শাসনামলে তারেক রহমানকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দূর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যাপক প্রচার চালায়। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও তার মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সফলতাও পায়। তাদের আন্দোলনের ফসল ওয়ান ইলেভেন সরকার তারেক রহমানকে দূর্নীতির বরপুত্রই বানায়নি, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে জেলে পুরে মামলা দেয়। সম্প্র্রতি সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান গ্রেফতার এবং রিমাণ্ডে যাবার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে ২৫’শ কোটি টাকা আছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার ফেসবুকে জবাব দিয়ে বলেছেন, খালেদা জিয়া মিথ্যাবাদী ও চোর। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি এ টাকা এতিমদের দিয়ে দেবেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপি জামানায় হাওয়া ভবন ও তারেক রহমান কে নিয়ে বিস্তর অভিযোগের ঢেউ উঠেছিল। এখনো নির্বাসিত তারেককে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। শফিক রেহমানসহ বিএপি’র একটি প্রতিনিধি দল এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দিয়েই জয়ের যাবতীয় তথ্য নিয়েছিলেন। তারা যে জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করাতে কতদূর গেছেন তা এতে বুঝা যায়। কিন্তু তারেক রহমান যেখানে বিতর্কিত হয়েছিলেন সেখানে সজীব ওয়াজেদ জয় এখনো বিতর্ক দূরে থাক কোন প্রশ্নের মুখেই পড়েননি। একটি আইটি বিশেষজ্ঞের ক্লিন ইমেজ দাঁড় করিয়েই আওয়ামীলীগ তাকে নিয়ে সামনে হাঁটছে।

বিএনপি নেতারা মনে করেন তাকে বিতর্কিত করার এখনই সময়। বিএপি নেতা ব্রিগেডিয়ার অব. আ স ম হান্নান শাহ পূর্বপশ্চিমকে বলেছেন, তাদের আনা অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। জনগণও তা বিশ্বাস করে। তারা এ নিয়ে জনগণের মাঝেই যাবেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

তারেককে দূর্নীতির বরপুত্র করার শোধ জয়ের ওপর নিতে চায় বিএনপি

আপডেট টাইম : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০১৬

তারেক রহমানকে দূর্নীতির বরপুত্র বানানোর শোধ এবার সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপর নিতে চায় বিএনপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যাপক প্রচারণায় নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি হাই কমাণ্ড। দলীয় সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া স্বয়ং নেতা–কর্মীদের এ নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি, নেতাদের দূর্নীতির অভিযোগ এনে জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে বলেছেন।

দলের দায়িত্বশীল নেতারা বলেছেন, বিএনপি জামায়ত শাসনামলে তারেক রহমানকে টার্গেট করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব দূর্নীতির অভিযোগ এনে ব্যাপক প্রচার চালায়। এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার ও তার মন্ত্রী, এমপি, নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ সফলতাও পায়। তাদের আন্দোলনের ফসল ওয়ান ইলেভেন সরকার তারেক রহমানকে দূর্নীতির বরপুত্রই বানায়নি, নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনে জেলে পুরে মামলা দেয়। সম্প্র্রতি সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান গ্রেফতার এবং রিমাণ্ডে যাবার পর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের একাউন্টে ২৫’শ কোটি টাকা আছে। সজীব ওয়াজেদ জয় ও তার ফেসবুকে জবাব দিয়ে বলেছেন, খালেদা জিয়া মিথ্যাবাদী ও চোর। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে তিনি এ টাকা এতিমদের দিয়ে দেবেন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিএনপি জামানায় হাওয়া ভবন ও তারেক রহমান কে নিয়ে বিস্তর অভিযোগের ঢেউ উঠেছিল। এখনো নির্বাসিত তারেককে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। শফিক রেহমানসহ বিএপি’র একটি প্রতিনিধি দল এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দিয়েই জয়ের যাবতীয় তথ্য নিয়েছিলেন। তারা যে জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করাতে কতদূর গেছেন তা এতে বুঝা যায়। কিন্তু তারেক রহমান যেখানে বিতর্কিত হয়েছিলেন সেখানে সজীব ওয়াজেদ জয় এখনো বিতর্ক দূরে থাক কোন প্রশ্নের মুখেই পড়েননি। একটি আইটি বিশেষজ্ঞের ক্লিন ইমেজ দাঁড় করিয়েই আওয়ামীলীগ তাকে নিয়ে সামনে হাঁটছে।

বিএনপি নেতারা মনে করেন তাকে বিতর্কিত করার এখনই সময়। বিএপি নেতা ব্রিগেডিয়ার অব. আ স ম হান্নান শাহ পূর্বপশ্চিমকে বলেছেন, তাদের আনা অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। জনগণও তা বিশ্বাস করে। তারা এ নিয়ে জনগণের মাঝেই যাবেন।