ঢাকা , বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিয়ে সবাইকে জানিয়েই করবো

চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগতভাবে গানের জগতে যাত্রা শুরু হয় ঝিলিকের। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্টেজ, অ্যালবাম ও প্লেব্যাক-এই তিন মাধ্যমেই সরব হয়ে উঠেন তিনি। সব ধরনের গানেই দখল রয়েছে এ শিল্পীর। মেলোডি, ফোক, রক প্রভৃতি ঘরানার গান বেশ সাবলীলভাবেই গাইতে পারেন এ গায়িকা। আর সে কারণে অন্য অনেকের চেয়ে ঝিলিকের চাহিদাও স্টেজে বেশি। এ যাবৎ অ্যালবাম মাধ্যমে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে গানের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে তার বিচরণ। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়টা কেমন কাটছে? ঝিলিক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। বেশ ভালো কাটছে। পড়াশোনা ও গান নিয়েই আমার মূল ব্যস্ততা। এর বাইরের অবসর সময় যতটুকু পাই সেটা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কেটে যায়। সব মিলিয়ে বিনদাস আছি। বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? ঝিলিক বলেন, পুরো ব্যস্ততাই গান নিয়ে। বিশেষ করে শো এর মৌসুম মাত্রই শেষ হলো। এতদিনতো টানা ব্যস্ততা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করেছি। কোনো কোনো দিন তিন-চারটি শোও করেছি। এখন আগের তুলনায় শো এর ব্যস্ততা খানিক কমেছে। সামনে বর্ষার সময় আরও কমবে। তখন স্টুডিওকেন্দ্রিক ব্যস্ততায় মনযোগী হওয়ার চেষ্টা করবো। কোন পরিকল্পনা কি আছে? ঝিলিক বলেন, বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে সেগুলো এখনো পুরোপুরি সবাইকে জানাতে চাই না। ঈদে শ্রোতাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে সারপ্রাইজ রয়েছে। সেটা কি নতুন গানের? ঝিলিক বলেন, গান সংশ্লিষ্টতো বটেই। কারণ আমার একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে প্রায় তিন বছর হলো। সবাই শুধু নতুন গান ও অ্যালবাম প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করেন। আমিও চিন্তা করেছি নতুন কিছু উপহার দেবো। তবে গতানুগতিক কোন কাজ করবো না এতটুকু বলতে পারি। এজন্য আমার শ্রোতাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। প্লেব্যাকের কি খবর? ঝিলিক বলেন, প্লেব্যাক করতে আমার খুব ভালো লাগে। এখন পর্যন্ত অনেক গুণী  সুরকারের সুরে কাজ করা হয়েছে আমার। গত কয়েক মাসেও কিছু প্লেব্যাকের প্রস্তাব ছিলো। কিন্তু আমার শিডিউল স্টেজে আগে থেকেই দেয়া ছিলো বলে সেগুলো করতে পারিনি। খারাপ লেগেছে খুব। তবে কয়েকটি সিনেমার গান নিয়ে কথা হচ্ছে। সামনে হয়তো সেগুলোর কাজ করবো। সংগীতে গত কয়েক বছরের হিসেব কষলে দেখা যায় ঝিলিক অডিও ও প্লেব্যাকের চেয়ে স্টেজ শোতে বেশি ব্যস্ত  থেকেছেন। বছরের বেশিরভাগ সময় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থাকে এসব ব্যস্ততা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বেশ কিছু স্টেজ শো করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এ শিল্পীর। আর এ মাধ্যমটিতে গান করতেই বেশি ভালো লাগে বলে ঝিলিক জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্টেজ শোতে গান করার মজাই অন্যরকম। এ মাধ্যটিতে গান করতে আমি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ এখানে দর্শক-শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনানোর পাশাপাশি তাদের চাহিদা সম্পর্কে যথাযথ একটা ধারণা পাওয়া যায়। আর এ অভিজ্ঞতা একজন শিল্পীর জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, দর্শক-শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনানোর ফলে তাদের কাছ থেকে ভালোলাগা-মন্দলাগা বিষয়গুলো সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ধারণা পাওয়া যায়। এই সময়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? ঝিলিক বলেন, গত বছর অনেক কাজ হয়েছিলো। মনে হচ্ছিলো আমরা খুব ভালো কোন জায়গায় যাচ্ছি। কিন্তু চলতি বছর সেই ধারাবাহিকতাটা নেই। তবে এ সময়ের সংগীতশিল্পী হিসেবে আমি খুব আশাবাদী। কারণ এখন ডিজিটালি গান হচ্ছে, প্রমোশন হচ্ছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। সব কিছু নিয়মের মধ্যে চলে আসলে আমরাও হয়তো এখান থেকে সুফল পেতে পারবো। অনেকেই বলে থাকেন এ সময়ের গান দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। আপনার অভিমত কি? ঝিলিক বলেন, এর সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত নই। কারণ একটা গানকে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার জন্যতো সময় দিতে হবে। সেই সময়টা অন্তত দেয়া উচিত। আর এখন অনেক ভালো গানও হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ভালো ও খারাপ সব সময়ই ছিলো। এখনও আছে। শ্রোতারা ভালো কাজটাকেই গ্রহণ করবে। আর খারাপটাকে বর্জন করবে। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। প্রেম-বিয়ের কি খবর? ঝিলিক বলেন, এই বিষয়ে কোন খবর নেই। বিয়ে একটি শুভ কাজ। করলে অবশ্য সবাইকে জানিয়েই করবো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বিয়ে সবাইকে জানিয়েই করবো

আপডেট টাইম : ০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ এপ্রিল ২০১৭

চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ প্রতিযোগিতার প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগতভাবে গানের জগতে যাত্রা শুরু হয় ঝিলিকের। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। স্টেজ, অ্যালবাম ও প্লেব্যাক-এই তিন মাধ্যমেই সরব হয়ে উঠেন তিনি। সব ধরনের গানেই দখল রয়েছে এ শিল্পীর। মেলোডি, ফোক, রক প্রভৃতি ঘরানার গান বেশ সাবলীলভাবেই গাইতে পারেন এ গায়িকা। আর সে কারণে অন্য অনেকের চেয়ে ঝিলিকের চাহিদাও স্টেজে বেশি। এ যাবৎ অ্যালবাম মাধ্যমে বেশ কিছু শ্রোতাপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। বর্তমানে গানের প্রতিটি ক্ষেত্রেই রয়েছে তার বিচরণ। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়টা কেমন কাটছে? ঝিলিক বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। বেশ ভালো কাটছে। পড়াশোনা ও গান নিয়েই আমার মূল ব্যস্ততা। এর বাইরের অবসর সময় যতটুকু পাই সেটা পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কেটে যায়। সব মিলিয়ে বিনদাস আছি। বর্তমান ব্যস্ততা কি নিয়ে? ঝিলিক বলেন, পুরো ব্যস্ততাই গান নিয়ে। বিশেষ করে শো এর মৌসুম মাত্রই শেষ হলো। এতদিনতো টানা ব্যস্ততা গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে শো করেছি। কোনো কোনো দিন তিন-চারটি শোও করেছি। এখন আগের তুলনায় শো এর ব্যস্ততা খানিক কমেছে। সামনে বর্ষার সময় আরও কমবে। তখন স্টুডিওকেন্দ্রিক ব্যস্ততায় মনযোগী হওয়ার চেষ্টা করবো। কোন পরিকল্পনা কি আছে? ঝিলিক বলেন, বেশ কিছু পরিকল্পনা আছে। তবে সেগুলো এখনো পুরোপুরি সবাইকে জানাতে চাই না। ঈদে শ্রোতাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে সারপ্রাইজ রয়েছে। সেটা কি নতুন গানের? ঝিলিক বলেন, গান সংশ্লিষ্টতো বটেই। কারণ আমার একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে প্রায় তিন বছর হলো। সবাই শুধু নতুন গান ও অ্যালবাম প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করেন। আমিও চিন্তা করেছি নতুন কিছু উপহার দেবো। তবে গতানুগতিক কোন কাজ করবো না এতটুকু বলতে পারি। এজন্য আমার শ্রোতাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। প্লেব্যাকের কি খবর? ঝিলিক বলেন, প্লেব্যাক করতে আমার খুব ভালো লাগে। এখন পর্যন্ত অনেক গুণী  সুরকারের সুরে কাজ করা হয়েছে আমার। গত কয়েক মাসেও কিছু প্লেব্যাকের প্রস্তাব ছিলো। কিন্তু আমার শিডিউল স্টেজে আগে থেকেই দেয়া ছিলো বলে সেগুলো করতে পারিনি। খারাপ লেগেছে খুব। তবে কয়েকটি সিনেমার গান নিয়ে কথা হচ্ছে। সামনে হয়তো সেগুলোর কাজ করবো। সংগীতে গত কয়েক বছরের হিসেব কষলে দেখা যায় ঝিলিক অডিও ও প্লেব্যাকের চেয়ে স্টেজ শোতে বেশি ব্যস্ত  থেকেছেন। বছরের বেশিরভাগ সময় ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থাকে এসব ব্যস্ততা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও বেশ কিছু স্টেজ শো করার অভিজ্ঞতা রয়েছে এ শিল্পীর। আর এ মাধ্যমটিতে গান করতেই বেশি ভালো লাগে বলে ঝিলিক জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্টেজ শোতে গান করার মজাই অন্যরকম। এ মাধ্যটিতে গান করতে আমি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ এখানে দর্শক-শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনানোর পাশাপাশি তাদের চাহিদা সম্পর্কে যথাযথ একটা ধারণা পাওয়া যায়। আর এ অভিজ্ঞতা একজন শিল্পীর জীবনে অনেক গুরুত্ব বহন করে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, দর্শক-শ্রোতাদের সরাসরি গান শোনানোর ফলে তাদের কাছ থেকে ভালোলাগা-মন্দলাগা বিষয়গুলো সম্পর্কে তাৎক্ষণিক ধারণা পাওয়া যায়। এই সময়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? ঝিলিক বলেন, গত বছর অনেক কাজ হয়েছিলো। মনে হচ্ছিলো আমরা খুব ভালো কোন জায়গায় যাচ্ছি। কিন্তু চলতি বছর সেই ধারাবাহিকতাটা নেই। তবে এ সময়ের সংগীতশিল্পী হিসেবে আমি খুব আশাবাদী। কারণ এখন ডিজিটালি গান হচ্ছে, প্রমোশন হচ্ছে। সারা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও এগিয়ে যাচ্ছি। সব কিছু নিয়মের মধ্যে চলে আসলে আমরাও হয়তো এখান থেকে সুফল পেতে পারবো। অনেকেই বলে থাকেন এ সময়ের গান দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না। আপনার অভিমত কি? ঝিলিক বলেন, এর সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত নই। কারণ একটা গানকে দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার জন্যতো সময় দিতে হবে। সেই সময়টা অন্তত দেয়া উচিত। আর এখন অনেক ভালো গানও হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি ভালো ও খারাপ সব সময়ই ছিলো। এখনও আছে। শ্রোতারা ভালো কাজটাকেই গ্রহণ করবে। আর খারাপটাকে বর্জন করবে। এবার ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। প্রেম-বিয়ের কি খবর? ঝিলিক বলেন, এই বিষয়ে কোন খবর নেই। বিয়ে একটি শুভ কাজ। করলে অবশ্য সবাইকে জানিয়েই করবো।