ঢাকা , শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতে কাঁপছে সারাবাংলা, তাপমাত্রা সাড়ে ৯ ডিগ্রি

ঘন কুয়াশা, শৈতপ্রবাহ আর কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনও একই তাপমাত্রা ছিল। উত্তরের হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা।

এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল।বৃহস্পতিবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। দিনের তাপমাত্রা ঠিক থাকলেও রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে হিমেল বাতাসে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে দিনমজুর ও কর্মজীবীরা। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়েছেন চরম ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠাণ্ডায় সবজিক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন বোরোচাষিরা।

উপজেলার অবাড়ী গ্রামের শ্রমিক সাগর রায় বলেন, ‘দুই দিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। সকালে বাইসাইকেল চালানো যাচ্ছে না। সকালে সাইকেল চালালে মনে হচ্ছে জীবন বাহির হয়ে যাবে। ঠাণ্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে।’

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বর্গাচাষি যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট।

কারণ ঘুম থেকে উঠে আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করা অনেক সমস্যা। কী আর করার, কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।’মাইক্রোবাসচালক কামাল চৌধুরী বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কে ১০ হাত দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে দিনের বেলায়ই যানবাহনগুলোর নিরাপত্তার জন্য বাধ্য হয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তলাম বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা দুস্থদের মাঝে সরকারি বরাদ্দের চার হাজার ১৬০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে দুস্থদের সহায়তায় এলাকার বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

শীতে কাঁপছে সারাবাংলা, তাপমাত্রা সাড়ে ৯ ডিগ্রি

আপডেট টাইম : ০৫:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৪
ঘন কুয়াশা, শৈতপ্রবাহ আর কনকনে ঠাণ্ডায় কাঁপছে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী। আজ বৃহস্পতিবার দিনাজপুর জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিনও একই তাপমাত্রা ছিল। উত্তরের হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে ঠাণ্ডার মাত্রা।

এদিকে ঘন কুয়াশা থাকায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিভিন্ন যানবাহন চলাচল।বৃহস্পতিবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর সকাল ৯টায় তাপমাত্রা কমে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নামে। দিনের তাপমাত্রা ঠিক থাকলেও রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে হিমেল বাতাসে সবচেয়ে কষ্টে পড়েছে দিনমজুর ও কর্মজীবীরা। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। সকালে কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়েছেন চরম ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠাণ্ডায় সবজিক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে দুচিন্তায় পড়েছেন বোরোচাষিরা।

উপজেলার অবাড়ী গ্রামের শ্রমিক সাগর রায় বলেন, ‘দুই দিন থেকে খুব ঠাণ্ডা। সকালে বাইসাইকেল চালানো যাচ্ছে না। সকালে সাইকেল চালালে মনে হচ্ছে জীবন বাহির হয়ে যাবে। ঠাণ্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যাচ্ছে।’

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বর্গাচাষি যোতিশ চন্দ্র রায় বলেন, ‘শীতকালে আমাদের মতো মানুষের খুব কষ্ট।

কারণ ঘুম থেকে উঠে আমাদের মাঠে যেতে হয়। ঠাণ্ডায় মাঠে কাজ করা অনেক সমস্যা। কী আর করার, কাজ না করলে তো আর জীবন চলবে না।’মাইক্রোবাসচালক কামাল চৌধুরী বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত সড়কে ১০ হাত দূরের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে দিনের বেলায়ই যানবাহনগুলোর নিরাপত্তার জন্য বাধ্য হয়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।’

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাতের তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তলাম বলেন, এ পর্যন্ত উপজেলা দুস্থদের মাঝে সরকারি বরাদ্দের চার হাজার ১৬০টি কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। তবে দুস্থদের সহায়তায় এলাকার বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছেন।