ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিম নিবন্ধনে অপরাধী শনাক্ত সহজ হবে

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে সহজে অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সোমবার সংসদের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারদলীয় সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশনের বৈঠক মুলতবি করা হয়। তবে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকারি দলের হাবিবুর রহমান মোল্লার সিম নিবন্ধন সম্পকিত প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের আগে সঠিকভাবে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পরীক্ষামূলকভাবে নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ গ্রাহকের পরিচিতি ভুয়া। একটি পরিচয়ের বিপরীতে ৬০ হাজার নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাওয়া গেছে। এর ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, অবৈধ ভিওআইপি করা সম্ভব হচ্ছিল। এ অবস্থায় মোবাইল ফোনের আওতায় সংগঠিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা কঠিন। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহক সিমের মালিকানা স্বীকার করছেন এবং জাতীয় তথ্যভান্ডারে রাখা ব্যক্তির পরিচয়ের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে, যা অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে না। সংগ্রহ করা তথ্য কেবল জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি একটি বাইনারি (দুই ভাগে বিভক্ত) কোড, যা ইমপ্লান্ট করা যায় না। এ বিষয়ে শত প্রোপাগান্ডার মধ্যেও মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সিম নিবন্ধনে অপরাধী শনাক্ত সহজ হবে

আপডেট টাইম : ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০১৬

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের ফলে সহজে অপরাধীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সোমবার সংসদের টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সরকারদলীয় সাংসদ মজিবুর রহমান ফকিরের মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশনের বৈঠক মুলতবি করা হয়। তবে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সরকারি দলের হাবিবুর রহমান মোল্লার সিম নিবন্ধন সম্পকিত প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের আগে সঠিকভাবে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পরীক্ষামূলকভাবে নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ গ্রাহকের পরিচিতি ভুয়া। একটি পরিচয়ের বিপরীতে ৬০ হাজার নিবন্ধিত সিমের তথ্য পাওয়া গেছে। এর ফলে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, অবৈধ ভিওআইপি করা সম্ভব হচ্ছিল। এ অবস্থায় মোবাইল ফোনের আওতায় সংগঠিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা কঠিন। বর্তমানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহক সিমের মালিকানা স্বীকার করছেন এবং জাতীয় তথ্যভান্ডারে রাখা ব্যক্তির পরিচয়ের সঙ্গে মিলিয়ে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে, যা অপরাধ ও অপরাধীদের শনাক্ত করতে সাহায্য করবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হচ্ছে না। এমনকি নতুন করে তথ্যও সংগ্রহ করা হচ্ছে না। সংগ্রহ করা তথ্য কেবল জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এটি একটি বাইনারি (দুই ভাগে বিভক্ত) কোড, যা ইমপ্লান্ট করা যায় না। এ বিষয়ে শত প্রোপাগান্ডার মধ্যেও মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা সফল হয়েছে।