শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির আহমেদ রবিনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে এর আয়োজন করা হয়।
বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে জানিয়ে ভোটের যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের কমিটি সম্পূর্ণ করেছি, এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই।’
তিনি বলেন, ‘নতুন করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর এ যুদ্ধ হবে রাজনীতির মাঠে ভোটের ও রাজনৈতিক যুদ্ধ। এই যুদ্ধে বিএনপি বিজয়ী হয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন খালেদা জিয়া।’
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘দেশের জনগণ আজ এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত। তাই তারা সভা-সমাবেশের অনুমতি দিতে ভয় পায়। তারা ভাল করেই জানে একটি সমাবেশ সামাল দেওয়ার ক্ষমতাই তাদের নেই।’
বিএনপির দাবি, নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সেজন্য ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার’ বা ‘সহায়ক সরকার’ যে নামেই হোক না কেন একটি নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা দিতে হবে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে একাদশতম সংসদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।