বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আগামী বছরের মার্চ/এপ্রিল থেকে বছরে সর্বোচ্চ ১৮ লাখ মেট্রিক টন তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির লক্ষ্যে সরকার আজ বৃহস্পতিবার কাতারের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আগামীকাল বুধবার একথা বলেন, জ্বালানি বিভাগ আজ সন্ধ্যায় পেট্রোসেন্টারে কাতারের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রাস-গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে দাম নির্ধারণে দরকষাকষির লক্ষ্যে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করতে আজ কাতারের রাস-গ্যাস কোম্পানির একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে। সরকার দৈনিক ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছিলেন, সরকার এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে শিগগির কাতারের সঙ্গে একটি চুক্তি করবে।
তিনি বলেন, গ্যাস সংকট লাঘবে সরকার এলএনজি আমদানির অন্য উৎসগুলোও উন্মুক্ত রাখবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার প্রতি বছর প্রায় চার মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে কাতারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ কর্পোরেশন পেট্রোবাংলা অভ্যন্তরীণ গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে দৈনিক সাড়ে তিন হাজার ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে প্রায় দুই হাজার সাত শ পঞ্চাশ ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে থাকে।
এদিকে পেট্রোবাংলা তাদের ভাসমান টার্মিনালসমূহ ও কক্সবাজারের মহেশখালী দ্বীপের কাছে স্থাপন করতে যাওয়া রি-গ্যাসিফিকেশন ইউনিট থেকে দৈনিক এক হাজার ঘনফুট আমদানিকৃত এলএনজি সরবরাহ করার মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি সুগম করতে একটি বিদেশি ও একটি দেশি কোম্পানির সঙ্গে পৃথক দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
পেট্রোবাংলা ২০৭ সালের ৩ জানুয়ারি এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন সেবার জন্য সামিট গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট এলএনজি টার্মিনাল কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জির সঙ্গে এলএনজি রি-গ্যাসিফিকেশন সেবার জন্য আরো একটি চুক্তি করে।
রাস-গ্যাস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এলএনজি কোম্পানিগুলোর অন্যতম। নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য এলএনজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের বিশ্বব্যাপী খ্যাতি রয়েছে। বাসস।