ঢাকা , শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও ২ সপ্তাহ লোডশেডিং হতে পারে: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। আরও ২ সপ্তাহ লোডশেডিং হতে পারে। আমরা আশা করছি, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

রবিবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। কয়লা ও তেল-এগুলোর যোগান দিতে আমাদের দীর্ঘ সময় লাগছে। এ কারণে লোডশেডিংয়ের জায়গাটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটা অসহনীয় হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে চেষ্টা করছি। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আনার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, বড়পুকুরিয়াতে আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। আমাদের লিকুইড ফুয়েল নির্ভর যে পাওয়ার প্লান্টগুলো ছিল সেগুলো প্রায় অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। তাই লোডশেডিংয়ের মাত্রাটা অনেক বেড়ে গেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহও বেড়ে গেছে। তাপমাত্রা যেহেতু ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে গেছে তাই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। আমাদের হাতে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট মজুত ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য প্রস্তুত রাখছিলাম, সেটাও আমরা জ্বালানির কারণে দিতে পারছি না।

লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অচিরেই কীভাবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় আমরা চেষ্টা করছি। আশা করব আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

আরও ২ সপ্তাহ লোডশেডিং হতে পারে: নসরুল হামিদ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, কয়েকদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। আরও ২ সপ্তাহ লোডশেডিং হতে পারে। আমরা আশা করছি, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

রবিবার (৪ জুন) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে লোডশেডিং বেড়ে গেছে। কয়লা ও তেল-এগুলোর যোগান দিতে আমাদের দীর্ঘ সময় লাগছে। এ কারণে লোডশেডিংয়ের জায়গাটা ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটা অসহনীয় হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে চেষ্টা করছি। সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা আনার চেষ্টা করছি।

নসরুল হামিদ বলেন, বড়পুকুরিয়াতে আমাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। আমাদের লিকুইড ফুয়েল নির্ভর যে পাওয়ার প্লান্টগুলো ছিল সেগুলো প্রায় অর্ধেক ক্যাপাসিটিতে চলছে। তাই লোডশেডিংয়ের মাত্রাটা অনেক বেড়ে গেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহও বেড়ে গেছে। তাপমাত্রা যেহেতু ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়ে গেছে তাই বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। আমাদের হাতে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট মজুত ছিল বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখার জন্য প্রস্তুত রাখছিলাম, সেটাও আমরা জ্বালানির কারণে দিতে পারছি না।

লোডশেডিংয়ের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অচিরেই কীভাবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় আমরা চেষ্টা করছি। আশা করব আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন সময়ের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব এ পরিস্থিতি থেকে একটা ভালো জায়গায় পৌঁছানোর।