চলতি বছরের মে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে হয়েছে। গত ১২ বছরের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২ শতাংশ। আর গত বছরের আগস্টে ছিল ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
সোমবার (৫ জুন) দুপুরে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিএসের তথ্য বলছে, মে মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ হয়েছে। সাধারণত খাদ্যপণ্যের চেয়ে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেশি থাকে। এপ্রিলে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ। চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।
এ ছাড়া বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থালি, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন ও শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ছে। মে মাসে এ খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ, যা এপ্রিলে ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ ছিল। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এখন অর্থনীতির বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক প্রবণতা বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রামের চেয়ে শহরে মূল্যস্ফীতি বেশি হয়। মে মাসে দেশের গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং শহরে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ।