২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ডিজেলচালিত সেচ-পাম্প থাকবে না। এসব চলবে সৌরশক্তিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে কমবে ডিজেল আমদানির ব্যয়, রক্ষা পাবে পরিবশেও।
কৃষি উৎপাদনে বিশেষ করে ধান আবাদে সেচের ব্যবহার বেশি হয়। আর সেচকাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে স্যালো ইঞ্জিন বা অগভীর নলকূপ। আর এসব অগভীর নলকূপের তিন-চতুর্থাংশই ডিজেলচালিত। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শুধু সেচের জন্য দেশে ডিজেল খরচ হয়েছে প্রায় ১৪ লাখ টন।
বিপুল এই ডিজেল পুরোটাই আমদানি-নির্ভর। সরকারকে এখাতে ব্যয় করতে হচ্ছে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। পাশাপাশি ডিজেল ইঞ্জিনের কারণে ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। তাই ডিজেলচলিত সব সেচপাম্পকে পর্যায়ক্রমে সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্পে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সররকার।
এখন পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি সৌর সেচ পাম্পে অর্থায়ন করেছে ইডকল। এখাতে ব্যাপক অর্থায়নের পরিকল্পনা সংস্থাটির।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, সৌর সেচ প্রকল্প এতোদিন পর্যন্ত খুবই ধীর গতিতে চলছে। এখন কাজের গতি বাড়ানো হবে। যাতে ২০৩০ সালের মধ্যে সব ডিজেলচালিত পাম্পকে সৌরশক্তিতে রূপান্তর করা যায়।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসইন বলেন, “ আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে ৪৫ হাজার সোলার ডেডিকেশন পাম্প বসানো হবে। ২০৩০ সালের মধ্যেই ডিজেল ভিত্তিক পাম্পগুলোকে সোলারে কনভার্ট করা হবে।”
সেচ মৌসুম শেষে বন্ধ থাকবে সৌরবিদ্যুতচালিত সেচ পাম্প। তাই সেই সময় উৎপাদিত সৌর বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মোহাম্মদ হোসইন বলেন, “এই বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে নেয়া হবে এবং যিনি ওই সোলারের মালিক তিনি এই বিদ্যুৎ বিক্রি করে বাড়তি পয়সা পাবেন।”
সৌরশক্তির সেচ পাম্প ব্যবহারে কৃষকের খরচ অনেক কমে যায় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।