ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগের পর জেল হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বৃহস্পতিবার রাত কাটাতে হবে জেলে। রাঁচীর বিশেষ আদালত তাঁর হেফাজত প্রসঙ্গে রায় সংরক্ষিত রেখেছেন। শুক্রবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার হেমন্তকে জেল হেফাজতে থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাঁচীর বিশেষ আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে হেমন্তকে হাজির করায় দেশটির  অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত সে বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেননি।

শুধু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জেল হেফাজতে রাখা হোক সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে।অন্যদিকে হেমন্ত ইতিমধ্যে নিজের গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার তাঁর মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

আনন্দবাজারের তথ্য অনুসারে, জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তের নাম জড়িয়েছে।

৬০০ কোটি রুপির ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে বুধবার দুপুরে হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম জানায়, বিধানসভায় হেমন্তের বদলে তাঁরা দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করছেন রাজ্যের বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে।
গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে এর আগে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে সেখান থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি। আবেদনে ইডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন হেমন্ত। তাঁর দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিভাবে নির্বাচিত সরকারকে অস্থির করে তোলার জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুক্রবার মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

পদত্যাগের পর জেল হেফাজতে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বৃহস্পতিবার রাত কাটাতে হবে জেলে। রাঁচীর বিশেষ আদালত তাঁর হেফাজত প্রসঙ্গে রায় সংরক্ষিত রেখেছেন। শুক্রবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হবে। তার আগে বৃহস্পতিবার হেমন্তকে জেল হেফাজতে থাকতে বলা হয়েছে।

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাঁচীর বিশেষ আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে হেমন্তকে হাজির করায় দেশটির  অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। তাঁকে ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল এই কেন্দ্রীয় সংস্থা। আদালত সে বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেননি।

শুধু জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার জেল হেফাজতে রাখা হোক সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে।অন্যদিকে হেমন্ত ইতিমধ্যে নিজের গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। শুক্রবার তাঁর মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ।

আনন্দবাজারের তথ্য অনুসারে, জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তের নাম জড়িয়েছে।

৬০০ কোটি রুপির ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই তদন্তের সূত্রে বুধবার দুপুরে হেমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে রাজভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন হেমন্ত। ঝাড়খণ্ডের শাসকদল জেএমএম জানায়, বিধানসভায় হেমন্তের বদলে তাঁরা দলনেতা হিসেবে নির্বাচিত করছেন রাজ্যের বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী চম্পই সোরেনকে।
গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে এর আগে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হেমন্ত। পরে সেখান থেকে আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতে আবেদন জানান তিনি। আবেদনে ইডির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন হেমন্ত। তাঁর দাবি, রাজ্যের গণতান্ত্রিভাবে নির্বাচিত সরকারকে অস্থির করে তোলার জন্যই তাঁকে গ্রেপ্তারের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুক্রবার মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে।