ঢাকা , বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে নিখোঁজ সবিতা রানীর লাশ সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নিখোঁজ সবিতা রানী (৪৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া গ্রামের প্রতিবেশি নিয়ামুলের সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত সবিতা রানী ওই গ্রামের মিলন কুমারের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে গরুর খাবার সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে যান সবিতা। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি দুপুরে স্থানীয় ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে পুলিশ মিলন কুমার দে’র বাড়িতে যায়। এসময় পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে এলাকায় খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি নিয়ামুলের পোল্ট্রি ফার্মের পাশে বেশ কিছু আলামত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। সেই সূত্র ধারে আশপাশে সবিতা রানীকে খোঁজ করতে থাকে। পরে নিয়ামুলের সেফটিক ট্যাংক এর ভেতর থেকে সবিতা রানীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান জানান, এখানে শেয়ালের উপদ্রব আছে। প্লোট্রি ফার্মের মালিক তার ফার্মে শেয়াল মারার জন্য বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পাতেন। ওই ফাঁদে বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সবিতা রানীর মৃত্যু হয়। যা আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম। পরে মরদেহ গুম করতে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলা হয়।

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের যাই। সেখানে আমাদের ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও ছিল। আমি ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যশোর জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করা হবে।
প্রেরক:Ñ মহসিন মিলন। বেনাপোল অফিস

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

যশোরে নিখোঁজ সবিতা রানীর লাশ সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার করছে পুলিশ

আপডেট টাইম : ৫৩ মিনিট আগে

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় নিখোঁজ সবিতা রানী (৪৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া গ্রামের প্রতিবেশি নিয়ামুলের সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে এ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত সবিতা রানী ওই গ্রামের মিলন কুমারের স্ত্রী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে গরুর খাবার সংগ্রহ করতে বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে যান সবিতা। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি দুপুরে স্থানীয় ভাটপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে পুলিশ মিলন কুমার দে’র বাড়িতে যায়। এসময় পুলিশ সন্দেহজনক ভাবে এলাকায় খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিবেশি নিয়ামুলের পোল্ট্রি ফার্মের পাশে বেশ কিছু আলামত দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। সেই সূত্র ধারে আশপাশে সবিতা রানীকে খোঁজ করতে থাকে। পরে নিয়ামুলের সেফটিক ট্যাংক এর ভেতর থেকে সবিতা রানীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তৈয়বুর রহমান জানান, এখানে শেয়ালের উপদ্রব আছে। প্লোট্রি ফার্মের মালিক তার ফার্মে শেয়াল মারার জন্য বৈদ্যুতিক তার দিয়ে ফাঁদ পাতেন। ওই ফাঁদে বিদুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সবিতা রানীর মৃত্যু হয়। যা আমি আগেই সন্দেহ করেছিলাম। পরে মরদেহ গুম করতে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলা হয়।

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুভ্র প্রকাশ দাস বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের যাই। সেখানে আমাদের ভাটপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ও ছিল। আমি ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহ উদ্ধার করি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য যশোর জেনারেল হাসাপাতাল মর্গে প্রেরন করা হবে।
প্রেরক:Ñ মহসিন মিলন। বেনাপোল অফিস