ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কারণে পদ হারালেন যুবদলের ৩ নেতা

দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকায় যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে পটুয়াখালী জেলা যুবদল। আজ সোমবার সকালে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বহিষ্কৃতরা হলেন কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. সোহেল মিয়াজী, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিরাজ হাওলাদার এবং কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য মো. ইউসুফ ঘরামি। তিনজনকেই দলের সব কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ওই তিনজনের বিরুদ্ধে কুয়াকাটায় অবস্থিত হান্ডি করাই নামের একটি বারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে বারের ম্যানেজার মো. বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিষয় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা সোহেল মিয়াজি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। আমি এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে জরিত নই যে, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।’

বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ইউসুফ ঘরামি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন, এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হবে।’

বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মিরাজ হাওলাদারকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, ‘তাদের বহিষ্কারের কারণ হিসেবে বারে হামলা চালানোর বিষয়টি আমিও নিউজের মাধ্যমে শুনেছি। তবে বিএনপির নিয়ম-নীতির বাইরে যারা যাবে, তাদের জন্য সংগঠন এই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সংগঠনের নিয়ম-নীতিতে সবসময় অটল থাকব। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠিন নির্দেশনা রয়েছে, কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নাম ভেঙে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লিখিত বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পটুয়াখালী জেলা শাখার সীদ্ধান্ত মোতাবেক নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৩ জন সদস্যকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

তিনি আরও জানান, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শিপলু খান এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

যে কারণে পদ হারালেন যুবদলের ৩ নেতা

আপডেট টাইম : ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকায় যুবদলের তিন নেতাকে বহিষ্কার করেছে পটুয়াখালী জেলা যুবদল। আজ সোমবার সকালে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বহিষ্কৃতরা হলেন কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. সোহেল মিয়াজী, কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিরাজ হাওলাদার এবং কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য মো. ইউসুফ ঘরামি। তিনজনকেই দলের সব কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

ওই তিনজনের বিরুদ্ধে কুয়াকাটায় অবস্থিত হান্ডি করাই নামের একটি বারে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে বারের ম্যানেজার মো. বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

এ বিষয় বহিষ্কৃত যুবদল নেতা সোহেল মিয়াজি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা মিথ্যা। আমি এমন কোনো কর্মকাণ্ডের সাথে জরিত নই যে, আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।’

বহিষ্কৃত যুবদল নেতা ইউসুফ ঘরামি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন, এটা সম্পূর্ণ ষড়যন্ত্র। এ বিষয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হবে।’

বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মিরাজ হাওলাদারকে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয় কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, ‘তাদের বহিষ্কারের কারণ হিসেবে বারে হামলা চালানোর বিষয়টি আমিও নিউজের মাধ্যমে শুনেছি। তবে বিএনপির নিয়ম-নীতির বাইরে যারা যাবে, তাদের জন্য সংগঠন এই সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সংগঠনের নিয়ম-নীতিতে সবসময় অটল থাকব। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠিন নির্দেশনা রয়েছে, কেউ যদি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নাম ভেঙে কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা তৈরি করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

লিখিত বক্তব্যে পটুয়াখালী জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল, পটুয়াখালী জেলা শাখার সীদ্ধান্ত মোতাবেক নৈতিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের ৩ জন সদস্যকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।

তিনি আরও জানান, পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শিপলু খান এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেন এবং যুবদলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন।