কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভাড়াটিয়ার বাসার ওয়্যারড্রোব থেকে সাহাল (৩) নামে নিখোঁজ এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশু ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার কাতার প্রবাসী সানাউল্লাহ বাবুর ছেলে।গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকায় দ্বীন মোহাম্মদ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়ার ঘর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার হাসান মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ থানার বাসিন্দা।
সাহাল আহম্মেদের বাবা কাতারে থাকেন। পৌর শহরের পঞ্চবটি দ্বীন মোহাম্মদ মিয়ার বাড়িতে সাহালকে নিয়ে তার মা মোমেনা একা থাকতেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল বিকেল ৫টায় পঞ্চবটি ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয় সাহাল আহম্মেদ। পরে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুজি করে ও পৌর শহরে মাইক দিয়ে নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করে। ওই দিন রাত ১১টায় থানা পুলিশের কাছে লিখিত হারানো অভিযোগ করেন পরিবারটি। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার্বিক বিষয়টি তদারকি করে রাত দেড়টায় শিশুরটির মরদেহ কেয়ারটেকার হাসানের ঘরের ওয়ার্ডপের ভিতর থেকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্র আরও জানা যায়, হাসানের সঙ্গে মোমেনার পরিবারের দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিভিন্ন সময় হাসান ও মোমেনার পরিবারের বাকবিতণ্ডা হতো। প্রায় সময় হাসান মোমেনাকে দেখে নেওয়ার হুমকি ধামকি দিত।
ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন বলেন,‘গতকাল রাত ১১টায় অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসানের ঘরের তালা লাগানো ওয়্যারড্রপ থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করি। পরে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকা থেকে হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাসান স্বীকার করেছে তিনি নিজেই শিশুটিকে হত্যা করেছেন। শিশুটির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।