পটুয়াখালীতে এক নারী পুলিশ কনস্টেবল ও এক কলেজছাত্রীর পৃথক ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রবিবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল তৃষা বিশ্বাস (২২) ও পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়া মনি আক্তার (১৮)।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত তৃষা বিশ্বাস পটুয়াখালী পুলিশ লাইন্সের নারী ব্যারাকের তৃতীয় তলার ৩ নম্বর রুমে থাকতেন। আজ রবিবার সকালে তার ব্যাচমেট অর্পণা ও ফাতেমা ডিউটিতে অংশ নিলেও তৃষাকে দেখা যায়নি। পরে তার আরেক সহকারী ইতি রানী মালো তৃষাকে ডাকতে ব্যারাকের তৃতীয় তলায় যান। এ সময় ইতি রানী রুমের ভেতর ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দেওয়া তৃষার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান এবং ঊর্ধ্বতনদের খবর দেন। পরে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার নুরুল আক্তার নিলয় ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসানের উপস্থিতিতে তৃষার মরদেহ নামানো হয়।
নিহত তৃষা বিশ্বাসের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামে। তিনি ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তার বিপি নম্বার ১২৫৫। তৃষার স্বামী পুলিশ কনষ্টেবল আনন্দ বৈদ্য বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, তৃষার রুমে কিছু ওষুধ ও ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন পাওয়া গেছে। সেটায় দেখা গেছে তিনি মানসিক ডাক্তারের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছেলেন।
পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, তৃষা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরবর্তী কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
এদিকে পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. মোদাচ্ছের বিল্লাহ জানান, আজ রবিবার সকাল ৯টার দিকে বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী রিয়া মনি আক্তারের রুমমেটরা নাস্তা করতে ডাইনিংয়ে যান। এ সময় রিয়া মনি ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় নাহিয়ান নামে এক যুবক রিয়া মনিকে তার স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ তাকে আটক করে।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, রিয়া মনির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশমিনা উপজেরার নাহিয়ান নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। রিয়া মনি দশমিনা উপজেলার পূজাখোলা এলাকার মনিরুল ইসলামের মেয়ে বলে জানা গেছে।