অন্যবারের তুলনায় এবার ঈদের ছুটি ছিল বেশ লম্বা। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফেরা মানুষের সংথ্যাও ছিল বেশি। ঈদের টানা ৯ দিনের সরকারী ছুটি শেষ হচ্ছে শনিবার। পাশাপাশি বেসরকারী কর্মজীবিদের মধ্যে অনেকেরই অফিস শুরু হচ্ছে রোববার। সরকারী-বেসরকারী চাকরিজীবীদের অনেকেই ঝামেলা এড়াতে একদিন আগেই ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন।
বাস-টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্ট্রেশন সবখানেই ঈদের ছুটি কাটিয়ে গ্রাম থেকে ফিরতে শুরু করা মানুষের ভিড়। বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখো বাস, ট্রেন, লঞ্চ সর্বত্রই মানুষের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ছে। দেখা গেছে।
শনিবার সকাল থেকেই ঢাকার গাবতলী,মহাখালী সায়েদাবাদ আন্ত:জেলা বাসটার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভীড়। প্রত্যেকটি বাসেই ধারণক্ষমতার বাইরেও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আসতে দেখা গেছে। বাসের ভিতরে ছিট না পেয়ে অনেকেই আবার বাসের ছাদে করেও ফিরছেন।
তবে ফেরার সময়ও রাস্তায় গাড়ির চাপ থাকার কারণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে যাওয়া বা আসার জন্য ফেরি পারাপার হতে হয় সেইসব জায়গায় ফেরীতে ফিরতে বেশ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
মেহেরপুর থেকে শনিবার সকালে গাবতলী বাস টার্মিনাল এসে নামেন বেসরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম (২৯)। তিনি পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ঈদের ছুটিতে সকলের সাথে ঈদ করতে বাড়িতে গিয়েছিলাম। সবার সাথে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি শেষে কাল থেকে আবার কর্মস্থলে যোগ দিতে হবে। তাই আজকেই ঢাকা ফিরে আসলাম। রাস্তায় বেশি জ্যাম না থাকলেও ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ থাকায় নির্ধারীত সময়ের চেয়ে দুই-তিন ঘন্টা বেশি সময় লেগেছে ঢাকা পৌছাতে।’
পাশাপাশি কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, স্টেশনজুড়ে ঢাকায় ফিরে আসা মানুষের জটলা। সকাল থেকে দুপুর টা ৩টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৮টি ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। সবগুলো ফিরতি ট্রেনগুলো মানুষ ভর্তি করে ফিরতে দেখা গেছে। ট্রেনগুলো আসনের তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই ঢাকায় ফিরছে। তবে ট্রেনে কিছুটা সময় যাত্রা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানায় যাত্রীরা। এর মধ্যে প্রতিটি ট্রেনই ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বিলম্বে ঢাকায় ফিরছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ঈদের পরথেকেই ফিরতি মানুষদের কথা মাথায় রেখেই ট্রেনের শিডিউল করা হয়েছে। সবগুলো ট্রেনই নিধারীত সময়ে এসে পৌছেছে। কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে ছাড়ার কারণে ২০ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা দেরিতে স্টেশনে পৌঁছাচ্ছে। ফিরতি সময়েও যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ থাকায় মাল ওঠানামাসহ বিভিন্ন কারণে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
অন্যদিকে সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনালেও ঢাকায় ফিরতি যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোতে যাত্রীদের বেশ চাপ দেখা যায়। সবগুলো লঞ্চেই ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ফিরতে দেখা গেছে।