বিয়ে পাগল সেই ব্যক্তির কাণ্ড, পকেটে পুরে বিভিন্ন দফতরের নিয়োগের কাগজপত্র নিয়ে হাজির। এভাবে আগের ৬টি বিয়ে ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছিলেন তিনি।
কিন্তু ৭ম বিয়ে করতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন ঈশ্বরদী যুব উন্নয়ন অফিসের এমএলএসএস সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ (৪০)।
তিনি রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার মহেশা মীরবাগ গ্রামের মৃত তাহের আলী পুত্র।
তবে সিরাজ পাচারকারী নারী দলের সদস্য মর্মে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তাকে সহযোগিতার অভিযোগে আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন ঈশ্বরদী সদরের মৃত্য আশরাফ আলীর পুত্র দেলওয়ার হোসেন (৪৫) ও প্রাইভেট কার চালক রংপুর সদরের ক্যান্টম্যান্ট এলাকার মৃত আজগার আলীর পুত্র সুমন আলী (৩২)।
শুক্রবার তাদের আটক করে ডিমলা থানা পুলিশ।
পুলিশ
জানায়, দেলওয়ারের বাড়িতে ভাড়া থাকতো প্রতারক সিরাজ। বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে বাড়িওয়ালা দেলোয়ারকে রাজি করান তিনি।
বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে পূর্ব ছাতনাই গ্রামে প্রাইভেট কার ভাড়া করে বিয়ে করতে আসে সিরাজ। এসময় প্রতারক সন্দেহে ৩ জনকে আটক করে পুলিশে দেন চেয়ারম্যান।
পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক আবদুল লতিফ খান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতারক সিরাজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ঢাকার এক সংসদ সদস্যের সত্যায়িত দেখে সন্দেহ হয়।
জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ওই প্রতারক ছবি ও ঠিকানার মিল পাওয়া যায়নি। তিনি কখনো স্বরাষ্ট্র, কখনো মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও যুব উন্নয়ন অধিদফতরে চাকরি করেন বলে দাবি করতেন। এটি প্রমাণ করতে একাধিক নিয়োগপত্রও তার সঙ্গেই থাকত।
ঈশ্বরদী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোরশেদ আহম্মেদ বলেন, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ নামে একজন এমএলএসএস তার অফিসে গত ৩ মাস আগে যোগদান করে। কিন্তু মাত্র ৬দিন অফিস করেছে সে। বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা করে ৬টি বিয়ে করেছে তিনি জানতে পারেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
ডিমলা থানার এসআই সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রাইভেট কার চালকের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতারক সিরাজকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। গাড়িচালক ও বাড়ির মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জাল কাগজ তৈরিসহ জাতীয়পরিচয় পত্র ও একাধিক দপ্তরের নিয়োগপত্রের প্রতারণায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।