ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জের রাস্তার কাজের ৪ দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে গেছে

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নদার্ন বাংলাদেশ এন্টিগ্রেটেড ডেভলোমেন্ট প্রজেক্টের (নবীদেব) রাস্তা পাকা করার ৪ দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে গেছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা মাঝাপাড়া গ্রামের ১কিলোমিটার রাস্তার ১০ থেকে ১৫টি স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের অভিযোগ, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা কাজে পরিমানে কম ও নির্মাণের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভায়া হয়ে দর্জিবাড়ী, বুড়িরহাট ও চাঁদখানা সাড়োভাষাঘাট হয়ে কেল্ল্যাবাড়ী পর্যন্ত ৮দশমিক ৮শ’ ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে অর্থায়ন করে জাপানের একটি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকার। যৌথ অর্থায়নের প্রকল্পটির বরাদ্দ ধরা হয় ৪ কোটি ৬৬ লাখ ২শ’ ৯৮টাকা। প্রকল্পের কাজটি করছেন নওগাঁর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস আই জেসমিন জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কাজের শেষ সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী কাজ শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে। এখনও ৪০ ভাগ কাজ অ-সম্পন্ন রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়োভাষা থেকে মাঝাপাড়া পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। কাজের ৪ দিনের মাথায় মাঝাপাড়ায় ১ কিলোমিটার রাস্তার ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের ২ফিট কোথাও ৩ফিট করে কার্পেটিং উঠে গেছে।

কাজের এ অবস্থা দেখে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকাবাসীর মধ্যে নীলফামারী কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ লিটন, আসাদুল্লাহ ও কৃষক সেকেন্দার আলীসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা কাজে নির্মাণের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ শেষ হতে না হতে কার্পেটিং উঠে গেছে।

তারা বলেন, কাজ শুরুর সময় তদারকি কর্মকর্তার কাছে আমরা এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ করে আসছিলাম কাজে ঘাপলা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কার্পেটিংয়ের পুরু ২৫ মিলিমিটার করার কথা থাকলেও এখানে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন অভিযোগ আমলে না নেয়ায় আমরা আজ দূর্ভোগের স্বীকার।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী নওশের আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক জায়গার কার্পেটিং এলাকাবাসী উঠে ফেলে আমাকে বেকায়দায় ফেলেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর ১২ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কার্পেটিং উঠে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু কি কারণে উঠে গেছে তা দেখা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

কিশোরগঞ্জের রাস্তার কাজের ৪ দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে গেছে

আপডেট টাইম : ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নদার্ন বাংলাদেশ এন্টিগ্রেটেড ডেভলোমেন্ট প্রজেক্টের (নবীদেব) রাস্তা পাকা করার ৪ দিনের মাথায় কার্পেটিং উঠে গেছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা মাঝাপাড়া গ্রামের ১কিলোমিটার রাস্তার ১০ থেকে ১৫টি স্থানে কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তাদের অভিযোগ, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা কাজে পরিমানে কম ও নির্মাণের সামগ্রী ব্যবহার করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভায়া হয়ে দর্জিবাড়ী, বুড়িরহাট ও চাঁদখানা সাড়োভাষাঘাট হয়ে কেল্ল্যাবাড়ী পর্যন্ত ৮দশমিক ৮শ’ ৬৫ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ কাজে অর্থায়ন করে জাপানের একটি উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকার। যৌথ অর্থায়নের প্রকল্পটির বরাদ্দ ধরা হয় ৪ কোটি ৬৬ লাখ ২শ’ ৯৮টাকা। প্রকল্পের কাজটি করছেন নওগাঁর একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এস আই জেসমিন জয়েন্ট ভেঞ্চার। এ সময় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটিকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত কাজের শেষ সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়।

সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে,ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী কাজ শুরু করে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করে। এখনও ৪০ ভাগ কাজ অ-সম্পন্ন রয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাড়োভাষা থেকে মাঝাপাড়া পর্যন্ত কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। কাজের ৪ দিনের মাথায় মাঝাপাড়ায় ১ কিলোমিটার রাস্তার ১০ থেকে ১৫ টি স্থানের ২ফিট কোথাও ৩ফিট করে কার্পেটিং উঠে গেছে।

কাজের এ অবস্থা দেখে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকাবাসীর মধ্যে নীলফামারী কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র হাবিবুল্লাহ লিটন, আসাদুল্লাহ ও কৃষক সেকেন্দার আলীসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্টরা কাজে নির্মাণের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ শেষ হতে না হতে কার্পেটিং উঠে গেছে।

তারা বলেন, কাজ শুরুর সময় তদারকি কর্মকর্তার কাছে আমরা এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ করে আসছিলাম কাজে ঘাপলা দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কার্পেটিংয়ের পুরু ২৫ মিলিমিটার করার কথা থাকলেও এখানে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি। কর্তৃপক্ষ আমাদের কোন অভিযোগ আমলে না নেয়ায় আমরা আজ দূর্ভোগের স্বীকার।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী নওশের আলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক জায়গার কার্পেটিং এলাকাবাসী উঠে ফেলে আমাকে বেকায়দায় ফেলেছে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর ১২ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

উপজেলা প্রকৌশলী এস এম কেরামত আলী নান্নুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কার্পেটিং উঠে যাওয়ার ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু কি কারণে উঠে গেছে তা দেখা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বজলুর রশীদ অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেন।