ঢাকা , সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমন-আউস ধানের আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিরাজগঞ্জের ইরি-বোর ধান কাটা শেষে এখন উচু জমিগুলোতে আউস ও নিচু জমিতে আমন ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। যে সকল কৃষকেরা ইরি-বোর ধান আগে কেটেছেন তারা আগেই খরিপ-১ জাতের আউস ধান লাগিয়েছেন। বর্তমানে অনেক কৃষক আউস ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর রোপা আউস ধান বেশি লাগিয়েছেন কৃষক। গত বছর উপজেলায় ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও রোপা আউস ধানের আবাদ হয়েছিল। কিন্ত এ বছর তা বেড়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ’ ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যা লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে।

Image result for আমন-আউস ধানের আবাদের ছবি

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় তাড়াশ, মাধাইনগর, দেশীগ্রাম, তালম, বারুহাস, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ ও নওগা ইউনিয়ন রয়েছে। তার মধ্য মাধাইনগর, দেশীগ্রাম, তালম ইউনিয়ন উচু এলাকা। তাই ওই সব এলাকায় রোপা আউস ধানের ব্রী ধান-৪৮, ৪২, ৪৩, ২৬ ও নেহেরিকা জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়। আর অন্য ইউনিয়নগুলো নিচু এলাকা হওয়ায় স্থানীয় ও উপসি জাতের  জিরা শাইলসহ বেশ কয়েক জাতের ধানের আবাদ হয়। আশা করছি এ বছর ভাল ও বাম্পার ফলন হবে। তাছাড়া প্রতি বছর কৃষকদের মাঝে বিনা মুল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের মাঝে আউস ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

Image result for আমন-আউস ধানের আবাদের ছবি

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, একই সাথে একই জমিতে বোরো ধান পরে আউস ও আমন চাষ করা হচ্ছে। তাতে ফলনও বেশ ভালো হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া সরকার আউস ধান চাষে বিনা মুল্যে বীজ ও সার দিয়ে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার ফলে আগামীতে আরো আবাদ বাড়বে।

তালম ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আউস ধান দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে কাটা সম্ভব। এ কারনে একই জমিতে আমন ধান রোপন করতে কোন সমস্যা হয় না।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

আমন-আউস ধানের আবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সিরাজগঞ্জের ইরি-বোর ধান কাটা শেষে এখন উচু জমিগুলোতে আউস ও নিচু জমিতে আমন ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। যে সকল কৃষকেরা ইরি-বোর ধান আগে কেটেছেন তারা আগেই খরিপ-১ জাতের আউস ধান লাগিয়েছেন। বর্তমানে অনেক কৃষক আউস ধান লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। উপজেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর রোপা আউস ধান বেশি লাগিয়েছেন কৃষক। গত বছর উপজেলায় ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ও রোপা আউস ধানের আবাদ হয়েছিল। কিন্ত এ বছর তা বেড়ে এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৫শ’ ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। যা লক্ষমাত্রা ছাড়িয়েছে।

Image result for আমন-আউস ধানের আবাদের ছবি

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, উপজেলায় তাড়াশ, মাধাইনগর, দেশীগ্রাম, তালম, বারুহাস, সগুনা, মাগুড়া বিনোদ ও নওগা ইউনিয়ন রয়েছে। তার মধ্য মাধাইনগর, দেশীগ্রাম, তালম ইউনিয়ন উচু এলাকা। তাই ওই সব এলাকায় রোপা আউস ধানের ব্রী ধান-৪৮, ৪২, ৪৩, ২৬ ও নেহেরিকা জাতের ধানের আবাদ বেশি হয়। আর অন্য ইউনিয়নগুলো নিচু এলাকা হওয়ায় স্থানীয় ও উপসি জাতের  জিরা শাইলসহ বেশ কয়েক জাতের ধানের আবাদ হয়। আশা করছি এ বছর ভাল ও বাম্পার ফলন হবে। তাছাড়া প্রতি বছর কৃষকদের মাঝে বিনা মুল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের মাঝে আউস ধান চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

Image result for আমন-আউস ধানের আবাদের ছবি

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, একই সাথে একই জমিতে বোরো ধান পরে আউস ও আমন চাষ করা হচ্ছে। তাতে ফলনও বেশ ভালো হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাছাড়া সরকার আউস ধান চাষে বিনা মুল্যে বীজ ও সার দিয়ে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার ফলে আগামীতে আরো আবাদ বাড়বে।

তালম ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মান্নান বলেন, আউস ধান দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে কাটা সম্ভব। এ কারনে একই জমিতে আমন ধান রোপন করতে কোন সমস্যা হয় না।