ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৯টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুরের ৯টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে নদী পারাপার হচ্ছে। তাই ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণ এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

সাদুল্লাপুরের কামারডাঙ্গা জোলার (নদীর শাখা) ওপরে বাঁশের তৈরি এই সাঁকোর দুই পাশে রয়েছে কামারডাঙ্গা, ঢালীপাড়া, মোল্লাপাড়া, চরপাড়া, দাসপাড়া, বেড়পাড়া, মুন্সীপাড়া, ফারাদপুর ও শাঁখারীপাড়া গ্রাম। কামারডাঙ্গা আর চরপাড়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া জোলার ওপরে কোনো সেতু না থাকায় স্থানীয় লোকজন প্রায় তিন যুগ আগে সাঁকোটি নির্মাণ করে। প্রতিদিন এ সাঁকোর ওপর দিয়ে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান, আব্দুল কাদেরসহ কয়েকজন জানায়, সাঁকোর ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি স্কুলছাত্ররাসহ নারীরা।

চরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর প্রামাণিক বলেন, ‘মানুষের চলাচলের কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বাঁশ ও টাকা তুলে আমরা সাঁকোটি তৈরি ও মেরামত করে আসছি। কয়েক যুগ ধরে এ অবস্থা চলছে। কিন্তু আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন প্রার্থী এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের আর খোঁজ থাকে না।’

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

৯টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের ভরসা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো

আপডেট টাইম : ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ জুন ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পাবনা সদর উপজেলার সাদুল্লাপুরের ৯টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে একটি নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে নদী পারাপার হচ্ছে। তাই ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণ এখন এলাকাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

সাদুল্লাপুরের কামারডাঙ্গা জোলার (নদীর শাখা) ওপরে বাঁশের তৈরি এই সাঁকোর দুই পাশে রয়েছে কামারডাঙ্গা, ঢালীপাড়া, মোল্লাপাড়া, চরপাড়া, দাসপাড়া, বেড়পাড়া, মুন্সীপাড়া, ফারাদপুর ও শাঁখারীপাড়া গ্রাম। কামারডাঙ্গা আর চরপাড়ার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া জোলার ওপরে কোনো সেতু না থাকায় স্থানীয় লোকজন প্রায় তিন যুগ আগে সাঁকোটি নির্মাণ করে। প্রতিদিন এ সাঁকোর ওপর দিয়ে শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

দাসপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান, আব্দুল কাদেরসহ কয়েকজন জানায়, সাঁকোর ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে কোমলমতি স্কুলছাত্ররাসহ নারীরা।

চরপাড়া গ্রামের আব্দুল গফুর প্রামাণিক বলেন, ‘মানুষের চলাচলের কথা বিবেচনা করে এলাকাবাসীর কাছ থেকে বাঁশ ও টাকা তুলে আমরা সাঁকোটি তৈরি ও মেরামত করে আসছি। কয়েক যুগ ধরে এ অবস্থা চলছে। কিন্তু আমাদের এই দুর্ভোগ দেখার কেউ নেই। নির্বাচনের সময় বিভিন্ন প্রার্থী এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাদের আর খোঁজ থাকে না।’

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুন্সি বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।