ঢাকা , রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলনবিলে ডিঙ্গী নৌকা বিক্রির ধুম

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আষাঢ় মাস চলছে তবুও বৃষ্টিপাতের দেখা মিলছে না। তারপরেও এখন বর্ষাকাল তাই চলনবিলের বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। এদিকে চলনবিলে বর্ষার পানি আসতে শুরু করায় বিভিন্ন হাটবাজারে শুরু হয়েছে ডিঙ্গী নৌকা তৈরির ধুম।

তাছাড়া বিলপাড়ের খন্ডখন্ড বিভক্ত পাড়া-মহল্লার লোকজন পারাপারের জন্য ও মাছ ধরার জন্য ডিঙ্গী নৌকা ক্রয় করছেন। তাড়াশ উপজেলার নওগা হাটে দেখা যায়, হাটের পশ্চিম পাশে ও জিন্দানী কলেজ এলাকাজুড়ে বসেছে নৌকা বিক্রির হাট। পাশা-পাশি প্রায় ১৫-২০টি কারখানায় চলছে নৌকা তৈরীর কাজ। অন্য উপজেলার ক্রেতা এসেছেন নৌকা কিনতে।

উপজেলার চলনবিলের মধ্যবর্তী ভেটুয়া গ্রামের হাসমত আলী জানান, নিচু এলাকার সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বা অন্য পাড়ায় যেতে এসব ডিঙ্গী নৌকার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার জন্য বেশী দরকার হয় এ নৌকা।

চাটমোহর উপজেলার নবীন গ্রামের গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, বর্ষায় চারদিকে ডুবে যাওয়ায় এসব ডিঙ্গী নৌকায় মাছ ধরা হয়।

তাছাড়া তাদের গ্রাম থেকে পাশের হান্ডিয়াল বাজারে আসতে সব সময় খেয়া বা পারাপারের নৌকা পাওয়া যায় না। তাই যাদের অবস্থা ভাল তারা নিজেদের জন্য নৌকা ক্রয় করেন। এ জন্যই নওগাঁ হাটে এসেছেন ডিঙ্গী নৌকা কিনতে।

নৌকার তৈরি কাঠ মিস্ত্রী শাহ আলম জানান- কাঠমিস্ত্রিদের মজুরী ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকার দাম বেড়েছে। প্রতিটি ডিঙ্গী নৌকার জন্য জনপ্রতি মিস্ত্রী ৮০০টাকা মজুরী পান। দিনে দুটি করে ডিঙ্গী নৌকা তৈরী করতে পারেন তারা।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

চলনবিলে ডিঙ্গী নৌকা বিক্রির ধুম

আপডেট টাইম : ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০১৯

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ আষাঢ় মাস চলছে তবুও বৃষ্টিপাতের দেখা মিলছে না। তারপরেও এখন বর্ষাকাল তাই চলনবিলের বর্ষার পানি আসতে শুরু করেছে। এদিকে চলনবিলে বর্ষার পানি আসতে শুরু করায় বিভিন্ন হাটবাজারে শুরু হয়েছে ডিঙ্গী নৌকা তৈরির ধুম।

তাছাড়া বিলপাড়ের খন্ডখন্ড বিভক্ত পাড়া-মহল্লার লোকজন পারাপারের জন্য ও মাছ ধরার জন্য ডিঙ্গী নৌকা ক্রয় করছেন। তাড়াশ উপজেলার নওগা হাটে দেখা যায়, হাটের পশ্চিম পাশে ও জিন্দানী কলেজ এলাকাজুড়ে বসেছে নৌকা বিক্রির হাট। পাশা-পাশি প্রায় ১৫-২০টি কারখানায় চলছে নৌকা তৈরীর কাজ। অন্য উপজেলার ক্রেতা এসেছেন নৌকা কিনতে।

উপজেলার চলনবিলের মধ্যবর্তী ভেটুয়া গ্রামের হাসমত আলী জানান, নিচু এলাকার সড়কগুলো পানিতে ডুবে যাচ্ছে। এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে বা অন্য পাড়ায় যেতে এসব ডিঙ্গী নৌকার প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে জেলেদের মাছ ধরার জন্য বেশী দরকার হয় এ নৌকা।

চাটমোহর উপজেলার নবীন গ্রামের গ্রামের মিজানুর রহমান জানান, বর্ষায় চারদিকে ডুবে যাওয়ায় এসব ডিঙ্গী নৌকায় মাছ ধরা হয়।

তাছাড়া তাদের গ্রাম থেকে পাশের হান্ডিয়াল বাজারে আসতে সব সময় খেয়া বা পারাপারের নৌকা পাওয়া যায় না। তাই যাদের অবস্থা ভাল তারা নিজেদের জন্য নৌকা ক্রয় করেন। এ জন্যই নওগাঁ হাটে এসেছেন ডিঙ্গী নৌকা কিনতে।

নৌকার তৈরি কাঠ মিস্ত্রী শাহ আলম জানান- কাঠমিস্ত্রিদের মজুরী ও কাঠের দাম বেড়ে যাওয়ায় নৌকার দাম বেড়েছে। প্রতিটি ডিঙ্গী নৌকার জন্য জনপ্রতি মিস্ত্রী ৮০০টাকা মজুরী পান। দিনে দুটি করে ডিঙ্গী নৌকা তৈরী করতে পারেন তারা।