ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে দুই এএসআই ক্লোজড

নিরীহ এক মোটরসাইকেল মেকানিক্সকে ভুল মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। তারা হলেন- এএসআই আলমগীর ও এএসআই জাকারিয়া।

সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলাম।

ঘটনার ভুক্তভোগী কামাল হোসেনের শ্যামলীর রিং রোডে নিজের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে। এলাকায় তিনি মোটর মেকানিক্স হিসেবেই পরিচিত।

ঘটনার বর্ননা দিয়ে কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে দাবি করে পুলিশের দুই কর্মকর্তা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমি জানতে পারি আমার নাম ও পিতার নামের সঙ্গে মাদক মামলার এক আসামি ও তার বাবার নামের মিল রয়েছে।

তিনি বলেন, আসামি কামালের জন্ম ১৯৮২ সালে। আমার জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৬ নভেম্বর। আসামি কামালের মায়ের নাম, জন্মসাল, এলাকা ও পেশার সঙ্গে আমার মায়ের নাম, জন্মসাল, এলাকা ও পেশার মিল নেই।

ফলে ওসি সাহেব বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে ছেড়ে দেন।

গতকাল (রোববার) মোহাম্মদপুর থানার এএসআই আলমগীর দোকানে এসে আমাকে খুঁজতে থাকেন। পরে আমি তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, মামলা থেকে তিনি আমাকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন। সে বাবদ তাকে কিছু খরচের টাকা ও আমার ভোটার আইডি কার্ড, দোকানের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র দিতে হবে।

কামাল হোসেন আরও বলেন, আমি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এ সব দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এ ঘটনা পরিচিত কয়েকজনকে জানিয়ে রাখি। আজ (সোমবার) বিষয়টি নিয়ে তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলাম আমাকে ডেকে নেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বিস্তারিত তাকে জানাই।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করে ডিসি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।

তদন্তের বিষয়ে এডিসি ওয়াহেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টাকা চাওয়া বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে নিরীহ মেকানিক কামাল হোসেনকে আটকের ক্ষেত্রে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি-না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তের স্বার্থে দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

নিরীহ ব্যক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে দুই এএসআই ক্লোজড

আপডেট টাইম : ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

নিরীহ এক মোটরসাইকেল মেকানিক্সকে ভুল মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে ক্লোজড করা হয়েছে। তারা হলেন- এএসআই আলমগীর ও এএসআই জাকারিয়া।

সোমবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলাম।

ঘটনার ভুক্তভোগী কামাল হোসেনের শ্যামলীর রিং রোডে নিজের একটি মোটরসাইকেল গ্যারেজ রয়েছে। এলাকায় তিনি মোটর মেকানিক্স হিসেবেই পরিচিত।

ঘটনার বর্ননা দিয়ে কামাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে দাবি করে পুলিশের দুই কর্মকর্তা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে আমি জানতে পারি আমার নাম ও পিতার নামের সঙ্গে মাদক মামলার এক আসামি ও তার বাবার নামের মিল রয়েছে।

তিনি বলেন, আসামি কামালের জন্ম ১৯৮২ সালে। আমার জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৬ নভেম্বর। আসামি কামালের মায়ের নাম, জন্মসাল, এলাকা ও পেশার সঙ্গে আমার মায়ের নাম, জন্মসাল, এলাকা ও পেশার মিল নেই।

ফলে ওসি সাহেব বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে আমাকে ছেড়ে দেন।

গতকাল (রোববার) মোহাম্মদপুর থানার এএসআই আলমগীর দোকানে এসে আমাকে খুঁজতে থাকেন। পরে আমি তার সঙ্গে দেখা করলে তিনি জানান, মামলা থেকে তিনি আমাকে অব্যাহতি দিয়ে দেবেন। সে বাবদ তাকে কিছু খরচের টাকা ও আমার ভোটার আইডি কার্ড, দোকানের ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র দিতে হবে।

কামাল হোসেন আরও বলেন, আমি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে এ সব দিতে অস্বীকৃতি জানাই। এ ঘটনা পরিচিত কয়েকজনকে জানিয়ে রাখি। আজ (সোমবার) বিষয়টি নিয়ে তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ওয়াহেদুল ইসলাম আমাকে ডেকে নেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আমি বিস্তারিত তাকে জানাই।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করে ডিসি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়েছে।

তদন্তের বিষয়ে এডিসি ওয়াহেদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টাকা চাওয়া বিষয়টি এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে নিরীহ মেকানিক কামাল হোসেনকে আটকের ক্ষেত্রে অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি-না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তের স্বার্থে দুই এএসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে।