ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আপিল খারিজ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আজ সোমবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন তিনি। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে উচ্চ আদালতের রায়ে হতাশ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখন বিচারপতি অপসারণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে এক ধরণের শুন্যতা তৈরি হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আপিল খারিজ করে দিয়েছে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই রায় দেয়।
ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে আনা আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের কিছু শব্দ বাদ দেয়া হবে বলেও রায়ে বলা হয়। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ও অবৈধ বলে দয়া হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল। ফলে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা আগের নিয়ম তথা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে। এই রায়কে তিনি ঐতিহাসিক বলে মন্তত্য করেন।
অসদাচারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন’- এর খসড়ার গতবছর ২৫ এপ্রিল মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দেয়। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
বিলটি পাসের পর ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আইন- ২০১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করে।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে

আপডেট টাইম : ০৪:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুলাই ২০১৭
বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ  অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আপিল খারিজ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আবেদন বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আজ সোমবার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই কথা বলেন তিনি। এ সময় অ্যাটর্নি জেনারেল উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলে উচ্চ আদালতের রায়ে হতাশ হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এখন বিচারপতি অপসারণ পদ্ধতির ক্ষেত্রে এক ধরণের শুন্যতা তৈরি হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে আনা আপিল খারিজ করে দিয়েছে আজ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র সুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই রায় দেয়।
ষোড়শ সংশোধনী বিষয়ে রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষে আনা আপিল খারিজ করে দিয়েছে আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের কিছু শব্দ বাদ দেয়া হবে বলেও রায়ে বলা হয়। তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ ক্ষমতা সংসদের হাতে অর্পণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল ও অবৈধ বলে দয়া হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল। ফলে বিচারপতিদের অপসারণ ক্ষমতা আগের নিয়ম তথা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে হবে। এই রায়কে তিনি ঐতিহাসিক বলে মন্তত্য করেন।
অসদাচারণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন’- এর খসড়ার গতবছর ২৫ এপ্রিল মন্ত্রিসভা নীতিগত অনুমোদন দেয়। সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়।
বিলটি পাসের পর ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আইন- ২০১৪ এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের নয় আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করে।