বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নির্যাতনের পর ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার হওয়া সেই গৃহকর্মী আদুরীর মামলায় আগামী ১৮ জুলাই রায় ঘোষণা করবে ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
রবিবার মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানির পর ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার রায় ঘোষণার এ দিন ঠিক করেন।
মামলাটিতে গৃহকর্তী নওরীন জাহান নদী কারাগারে এবং নদীর মা ইশরাত জাহান জামিনে রয়েছেন।
যুক্তিতর্ক শুনানির আগে ১৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট ফাহমিদা আক্তার রিংকি।
২০১৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ও ডিওএইচএস তেলের ডিপোর মাঝামাঝি রেললাইন সংলগ্ন একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হয় নির্যাতনে কঙ্কালসার মৃতপ্রায় গৃহকর্মী আদুরীকে। উদ্ধারের সময় তার শরীরে মারধর, গরম খুন্তির ও ইস্ত্রির ছ্যাঁকা, ব্লেড দিয়ে শরীর পোঁচানো, মাথায় কোপ, মুখে আগুনের ছ্যাঁকাসহ ছিল অসংখ্য নির্যাতনের চিহ্ন। উদ্ধারের পর প্রায় দেড় মাস আদুরীকে চিকিৎসা দেয় ঢাকা মেডিকেল। এরপর সে ওই বছর ৭ নভেম্বর চলে যায় নিজ বাড়ি পটুয়াখালী জেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নের নিজ গ্রামে।
ওই ঘটনায় ওই বছর ২৬ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় নওরীন জাহান নদী ও স্বামী সাইফুল ইসলাম মাসুদ, মাসুদের দুলাভাই চুন্নু মীর ও তাদের আত্মীয় রনিকে আসামি করে মামলা করা হয়।
তদন্ত শেষে ওই বছর ১০ অক্টোবর নদী ও তার মা ইসরাত জাহানকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের এসআই কুইন আক্তার। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মাসুদ, চুন্নু মীর ও রনিকে বাদ দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় নদীকে। এরপর তিনি আদালতে আদুরীকে নির্যাতনের কথা স্বীকার করে ওই বছরের ১ অক্টোবর জবানবন্দি দেন। আদুরীও নির্যাতনের বর্ণনা করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।