ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মামলার তিন আসামি মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ জুন একই আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২১ জুন দিন ধার্য করেন। ওইদিন আসামি ডিআইজি মিজানকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে রয়েছেন তার ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। তারাও আদালতে হাজিরা দেন। তবে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।

৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ওই বছরের ২০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

দুদকের মামলায় ডিআইজি মিজানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট টাইম : ০১:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই ২০২৩

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া মামলার তিন আসামি মিজানুর রহমানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ জুন একই আদালত রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২১ জুন দিন ধার্য করেন। ওইদিন আসামি ডিআইজি মিজানকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে রয়েছেন তার ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান। তারাও আদালতে হাজিরা দেন। তবে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। গত ১২ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন।

৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৪ জুন ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এরপর ওই বছরের ২০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আদালতে মামলার বিচার শুরু হয়।