ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নারীর ঝুলন্ত লাশের সঙ্গে মিলল চিরকুট

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউপির দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের আহমেদ মহাজন বাড়ির আব্দুল কাদেরের মেয়ে তানিয়া আক্তার তানজিনা (২০) পারিবারিক কলহের জেরে বাবার বসতঘরে আত্মহত্যা করেন।

বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে ফাঁকা ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তানিয়ার মা ঘরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত দেখে চিৎকার করে, খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ঝুলন্ত লাশের সঙ্গে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

চিরকুটে তানিয়া উল্লেখ করে, ‘আমি মরে গেলে আমার মরার পেছনে কেউ দায়ী নয়, আমি স্বেচ্ছায় আমার জীবন দিয়েছি, আমাকে মাটি দেবে চট্টগ্রামের বাড়িতে, আমাকে বাড়িতে মাটি দেবেন না, আমি মরার পরে কেউ কান্না করবেন না, আমি মরার পর চারজন মাটি দেবে, তারা হলো শহরের মানুষ, মাটি দেবে হৃদয়, আকরাম, রাজু ভাই রকি ভাই, এ চার জন আমাকে মাটি দেবে, আর এছাড়া কেউ আমাকে মাটি দেবেন না, আর আমাকে পালকি করে নিয়ে যাবে, প্রথম মাটি দেবে আমার বাবা, বাবার টাকায় কাফন কিনে আমাকে মাটি দেবে, আমি মরে গেলাম আমাকে কেউ ফিরে পাবে না। ইতি- তানজিনা।’

তবে তানিয়ার পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে তানিয়া আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ২০২১ সালে উপজেলার পৌরসভা নাওগোদা গ্রামের শহীদের ছেলে সোহাগের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সোহাগ-তানিয়া দম্পতির দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সোহাগ তানিয়ার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতো, এ নিয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে বসেও সমাধান করা যায়নি। পরে নিরুপায় হয়ে কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে এসে বুধবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

নারীর ঝুলন্ত লাশের সঙ্গে মিলল চিরকুট

আপডেট টাইম : ০৫:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা উত্তর ইউপির দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের আহমেদ মহাজন বাড়ির আব্দুল কাদেরের মেয়ে তানিয়া আক্তার তানজিনা (২০) পারিবারিক কলহের জেরে বাবার বসতঘরে আত্মহত্যা করেন।

বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে ফাঁকা ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তানিয়ার মা ঘরে এসে মেয়েকে ঝুলন্ত দেখে চিৎকার করে, খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। ঝুলন্ত লাশের সঙ্গে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।

চিরকুটে তানিয়া উল্লেখ করে, ‘আমি মরে গেলে আমার মরার পেছনে কেউ দায়ী নয়, আমি স্বেচ্ছায় আমার জীবন দিয়েছি, আমাকে মাটি দেবে চট্টগ্রামের বাড়িতে, আমাকে বাড়িতে মাটি দেবেন না, আমি মরার পরে কেউ কান্না করবেন না, আমি মরার পর চারজন মাটি দেবে, তারা হলো শহরের মানুষ, মাটি দেবে হৃদয়, আকরাম, রাজু ভাই রকি ভাই, এ চার জন আমাকে মাটি দেবে, আর এছাড়া কেউ আমাকে মাটি দেবেন না, আর আমাকে পালকি করে নিয়ে যাবে, প্রথম মাটি দেবে আমার বাবা, বাবার টাকায় কাফন কিনে আমাকে মাটি দেবে, আমি মরে গেলাম আমাকে কেউ ফিরে পাবে না। ইতি- তানজিনা।’

তবে তানিয়ার পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে তানিয়া আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। ২০২১ সালে উপজেলার পৌরসভা নাওগোদা গ্রামের শহীদের ছেলে সোহাগের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। সোহাগ-তানিয়া দম্পতির দেড় বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সোহাগ তানিয়ার উপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতো, এ নিয়ে একাধিকবার সামাজিকভাবে বসেও সমাধান করা যায়নি। পরে নিরুপায় হয়ে কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে এসে বুধবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

নাঙ্গলকোট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম সিকদার বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।