ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়া বন্ধের রিট খারিজ

বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেনের বেঞ্চ এটি খারিজ করে দেন।

তবে এসময় আদালত বলেন, গুলি করার প্রয়োজন হলে সংবিধান ও আইন যথাযথভাবে মেনে করতে হবে।

আদালত আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন।

পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।

এর আগে, গত ১ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশিষ্ট আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি লাইভ রাউন্ড (তাজা গুলি) ব্যবহার না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তারা হলেন মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালক, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছোড়া বন্ধের রিট খারিজ

আপডেট টাইম : ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

বিক্ষোভ দমনে বিক্ষোভকারী বা আন্দোলনকারীদের ওপর সরাসরি গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেনের বেঞ্চ এটি খারিজ করে দেন।

তবে এসময় আদালত বলেন, গুলি করার প্রয়োজন হলে সংবিধান ও আইন যথাযথভাবে মেনে করতে হবে।

আদালত আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছেন।

পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।

এর আগে, গত ১ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংশিষ্ট আদালতের কনিষ্ঠ বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন অসুস্থতার কারণে ওইদিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর সরাসরি লাইভ রাউন্ড (তাজা গুলি) ব্যবহার না করার নির্দেশনা চেয়ে গত ২৯ জুলাই রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী। তারা হলেন মানজুর-আল-মতিন ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা।

রিটে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিচালক, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন।