রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানিকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কিছু আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তাকে আদালতে হাজির করার সময় ও শুনানি শেষে নেওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ দীপু মনির গায়ে থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি দেন।
এর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানিকে হত্যা মামলায় দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মঙ্গলবার বিকালে মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন আদালতে তাদের হাজির করেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত দীপু মনির চার দিন এবং জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিন বেলা ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। শুনানিকালে বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
এদিকে দীপু ও জয়কে যখন সিএমএম আদালতের গেট দিয়ে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে আসা হচ্ছিল, তখন এক ব্যক্তি রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এ সময় তিনি দীপু মনির ফাঁসি দাবি করেন। পরে সেখান থেকে উঠে যান। তাদের নিয়ে গাড়ি চলে যায় সিএমএম আদালতের হাজতখানায়।
বেলা পৌনে ৪টার দিকে তাদের এজলাসে তোলার জন্য হাজতখানা থেকে নিয়ে আসা হয়। তাদের মাথায় হেলমেট পরা ছিল। আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে তাদের এজলাসে তুলতে বেগ পেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। অনেক ধাক্কাধাক্কি করে তাদের আদালতের দ্বিতীয় তলায় তোলা হয়। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী দীপু মনিকে থাপ্পড় মারেন। পরে তাদের এজলাসে তোলা হয়।
গত ১৯ আগস্ট রাতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর গুলশানের বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে আটক করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর ও ঢাকায় মামলা রয়েছে। রাতেই তাকে মোহাম্মদপুর থানার এই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।