ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতে হত্যাকারী, ভোরে স্লোগানধারী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে গত বুধবার রাতে পিটিয়ে হত্যা করার পর বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়াকে। সেখানে তিনি মব কিলিংয়ের প্রতিবাদে সেøাগানও দেন। এরই মধ্যে সুমন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি অনেকটা এমন- ‘রাতে হত্যাকারী, ভোরে স্লোগানধারী‘।

সরেজমিন সেদিন দেখা যায়, ভোররাতে ‘মব কিলিং’র প্রতিবাদে দুটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একটি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলের নেতৃত্বে। আরেকটিবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে। দুটি বিক্ষোভ মিছিলই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে একত্রিত হয়। সেখানে কিছুক্ষণ মব কিলিংয়ের প্রতিবাদে সেøাগান দেওয়ার পর রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

আরও দেখা যায়, সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবির ইসলাম জুবেল, আবু বাকের মজুমদার ও ফজলুল হক মুসলিম হলের দুই শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। পাশাপাশি মব কিলিংয়ের প্রতিবাদে সেøাগান দেওয়া হয়। তখন তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত সুমন মিয়াকেও সেøাগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশ শেষে তিনি টিএসসির চায়ের দোকানগুলোতে অবস্থান করেন।

এমন সময় আমাদের সময়ের ঢাবি প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কথা হয় সুমনের সাথে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়- মারধরে কারা কারা জড়িত ছিল। তখন সুমন মিয়া নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, আমি শুরুর দিকে উপস্থিত ছিলাম। আমি তাকে হাত ধরে শুধু ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। মারধরের সময় উপস্থিত ছিলাম না। তাই কারা মারধর করেছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটজনকে শনাক্ত করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে ওই আটজনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেনÑ পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০- ২১ শিক্ষাবর্ষের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. আহসান উল্লাহ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ফিরোজ কবির, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. আবদুস সামাদ এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ওয়াজিবুল আলম। তাদের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ ছাড়া অন্য ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রাধ্যক্ষ পরিবর্তন, আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

তোফাজ্জলকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করা হয়েছে। একই সাথে এ ঘটনায় জড়িত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হলের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযুক্ত আট ছাত্রের আবাসিক সিট হল প্রশাসন বাতিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে হলটির নতুন প্রভোস্ট (প্রাধ্যক্ষ) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনায় কমিটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই কমিটিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সায়মা হক বিদিশাকে প্রধান করা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক এবং সকল আবাসিক হলের মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করা, ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট উচ্ছেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কসমূহে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা গতিশীল করা, হলের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন ভবন নির্মাণ করা, খাবারের মান উন্নত করা, উচ্চগতির ইন্টারনেট ও ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগসহ হল ও ক্যাম্পাসের সামগ্রিক বিষয়ে দাবি-দাওয়াসমূহ পর্যালোচনা করার জন্য উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

রাতে হত্যাকারী, ভোরে স্লোগানধারী

আপডেট টাইম : ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন তোফাজ্জলকে গত বুধবার রাতে পিটিয়ে হত্যা করার পর বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে দেখা গিয়েছিল মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়াকে। সেখানে তিনি মব কিলিংয়ের প্রতিবাদে সেøাগানও দেন। এরই মধ্যে সুমন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বিষয়টি অনেকটা এমন- ‘রাতে হত্যাকারী, ভোরে স্লোগানধারী‘।

সরেজমিন সেদিন দেখা যায়, ভোররাতে ‘মব কিলিং’র প্রতিবাদে দুটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। একটি বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেলের নেতৃত্বে। আরেকটিবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদারের নেতৃত্বে। দুটি বিক্ষোভ মিছিলই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে একত্রিত হয়। সেখানে কিছুক্ষণ মব কিলিংয়ের প্রতিবাদে সেøাগান দেওয়ার পর রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

আরও দেখা যায়, সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবির ইসলাম জুবেল, আবু বাকের মজুমদার ও ফজলুল হক মুসলিম হলের দুই শিক্ষার্থী বক্তব্য দেন। পাশাপাশি মব কিলিংয়ের প্রতিবাদে সেøাগান দেওয়া হয়। তখন তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত সুমন মিয়াকেও সেøাগান দিতে দেখা যায়। সমাবেশ শেষে তিনি টিএসসির চায়ের দোকানগুলোতে অবস্থান করেন।

এমন সময় আমাদের সময়ের ঢাবি প্রতিবেদক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে কথা হয় সুমনের সাথে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়- মারধরে কারা কারা জড়িত ছিল। তখন সুমন মিয়া নিজের দায় অস্বীকার করে বলেন, আমি শুরুর দিকে উপস্থিত ছিলাম। আমি তাকে হাত ধরে শুধু ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। মারধরের সময় উপস্থিত ছিলাম না। তাই কারা মারধর করেছে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।

এই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য ও সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আটজনকে শনাক্ত করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে ওই আটজনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তারা হলেনÑ পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মো. মোত্তাকিন সাকিন শাহ, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সুমন মিয়া, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০- ২১ শিক্ষাবর্ষের আল হোসাইন সাজ্জাদ, গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মো. আহসান উল্লাহ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. ফিরোজ কবির, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মো. আবদুস সামাদ এবং সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ওয়াজিবুল আলম। তাদের মধ্যে ফিরোজ কবির ও আবদুস সামাদ ছাড়া অন্য ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রাধ্যক্ষ পরিবর্তন, আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার

তোফাজ্জলকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করা হয়েছে। একই সাথে এ ঘটনায় জড়িত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফজলুল হক মুসলিম হলের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে অভিযুক্ত আট ছাত্রের আবাসিক সিট হল প্রশাসন বাতিল করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আট শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের আদেশ দিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রভোস্ট শাহ্ মো. মাসুমকে পরিবর্তন করে ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস আল-মামুনকে হলটির নতুন প্রভোস্ট (প্রাধ্যক্ষ) হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনায় কমিটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি-দাওয়া পর্যালোচনা করতে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এই কমিটিতে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. সায়মা হক বিদিশাকে প্রধান করা হয়েছে। সদস্যসচিব হিসেবে রয়েছেন প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক এবং সকল আবাসিক হলের মতবিনিময় সভায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দলীয় ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ছাত্র সংসদ কার্যকর করা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে বহিরাগত মুক্ত করা, ভ্রাম্যমাণ দোকানপাট উচ্ছেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সড়কসমূহে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যবস্থা গতিশীল করা, হলের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও নতুন ভবন নির্মাণ করা, খাবারের মান উন্নত করা, উচ্চগতির ইন্টারনেট ও ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগসহ হল ও ক্যাম্পাসের সামগ্রিক বিষয়ে দাবি-দাওয়াসমূহ পর্যালোচনা করার জন্য উপাচার্যের নির্দেশনা অনুযায়ী এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।