ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমপি হয়ে এলাকার চেয়ে নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন অসীম

কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে সপরিবারে বসবাস করা অসীম কুমার উকিল ২০১৮ সালে নেত্রকোনা-৩ আসনে (কেন্দুয়া-আটপাড়া উপজেলা) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাঁরাই কেবল জানতেন তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে তাঁর মেলামেশাও ছিল কম।

ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন অসীম কুমার উকিল।

তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী অপু উকিল নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এমপি থাকাকালে দুর্নীতি, লুটপাট করে দুই হাতে টাকা কামিয়েছেন অসীম কুমার উকিল। গুঞ্জন রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ক্ষমতার দাপটে এলাকার উন্নয়নের চেয়ে নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সরকার পতনের পর পালিয়ে গিয়ে ভারতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অসীমকে সস্ত্রীক আড্ডা দিতেও দেখা গেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে।

এমপি থাকাকালে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর অসীম কুমার উকিল ও তাঁর স্ত্রী অপু উকিলের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ ওঠে। আর এই অভিযোগ করেন নেত্রকোনা জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দুদক বরাবর করা অভিযোগটি তখন কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি।

জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতির অভিযোগে বলা হয়, অসীম কুমার উকিল দুর্নীতি, লুটপাটের টাকায় ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডে দুই ইউনিটের সাততলা বাড়ি, ধানমণ্ডি ১১ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়িতে তিনটি ফ্ল্যাট, পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লটের মালিক হয়েছেন।

এ ছাড়া নেত্রকোনা সদরের কাটলী মৌজায় মূল্যবান জায়গা, কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়ায় রাজকীয় বাড়ি, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খড়মপট্টিতে উকিল নিবাস নামেও একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর।

অসীমের বদৌলতে তাঁর দুই ছেলে সায়ক উকিলের নামে কানাডায় ও শুদ্ধ উকিলের নামে লন্ডনে বাড়ি রয়েছে। তাঁর ভাই অশেষ কুমারের নামে আছে চট্টগ্রামে শিপিং লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা ও শপিংমল। ভারতের বেঙ্গালুরুতে নামে-বেনামে তাঁদের বিশাল বাড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগে জানা যায়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

এমপি হয়ে এলাকার চেয়ে নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন অসীম

আপডেট টাইম : ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে সপরিবারে বসবাস করা অসীম কুমার উকিল ২০১৮ সালে নেত্রকোনা-৩ আসনে (কেন্দুয়া-আটপাড়া উপজেলা) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। যাঁরা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তাঁরাই কেবল জানতেন তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা। নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূলের মানুষের সঙ্গে তাঁর মেলামেশাও ছিল কম।

ওই নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন অসীম কুমার উকিল।

তিনি আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী অপু উকিল নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।এমপি থাকাকালে দুর্নীতি, লুটপাট করে দুই হাতে টাকা কামিয়েছেন অসীম কুমার উকিল। গুঞ্জন রয়েছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বিশেষ সখ্য থাকায় ক্ষমতার দাপটে এলাকার উন্নয়নের চেয়ে নিজের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিলেন তিনি।

ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সরকার পতনের পর পালিয়ে গিয়ে ভারতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অসীমকে সস্ত্রীক আড্ডা দিতেও দেখা গেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে।

এমপি থাকাকালে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর অসীম কুমার উকিল ও তাঁর স্ত্রী অপু উকিলের বিরুদ্ধে সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ থাকার অভিযোগ ওঠে। আর এই অভিযোগ করেন নেত্রকোনা জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি কেশব রঞ্জন সরকার। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দুদক বরাবর করা অভিযোগটি তখন কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি।

জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতির অভিযোগে বলা হয়, অসীম কুমার উকিল দুর্নীতি, লুটপাটের টাকায় ঢাকার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের ১৮ নম্বর রোডে দুই ইউনিটের সাততলা বাড়ি, ধানমণ্ডি ১১ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাড়িতে তিনটি ফ্ল্যাট, পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লটের মালিক হয়েছেন।

এ ছাড়া নেত্রকোনা সদরের কাটলী মৌজায় মূল্যবান জায়গা, কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়ায় রাজকীয় বাড়ি, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় বিলাসবহুল বাড়ি, কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খড়মপট্টিতে উকিল নিবাস নামেও একটি বাড়ি রয়েছে তাঁর।

অসীমের বদৌলতে তাঁর দুই ছেলে সায়ক উকিলের নামে কানাডায় ও শুদ্ধ উকিলের নামে লন্ডনে বাড়ি রয়েছে। তাঁর ভাই অশেষ কুমারের নামে আছে চট্টগ্রামে শিপিং লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা ও শপিংমল। ভারতের বেঙ্গালুরুতে নামে-বেনামে তাঁদের বিশাল বাড়ি রয়েছে বলেও অভিযোগে জানা যায়।