ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

পূজার ছুটি শেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও অতিরিক্ত গরম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব পেঁয়াজ আড়তে গুদামের মেঝেতে ঢেলে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে, এবং শ্রমিকরা বাছাইয়ের কাজ করছেন। বাছাই করা পেঁয়াজের মানভেদে আড়তে স্বল্পমূল্যে বিক্রি চলছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, পেঁয়াজের বস্তাগুলো গোডাউনের বাইরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মূলত বন্দর থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও নিম্নমানের হওয়ায় এগুলো আড়তে নিয়ে মেঝেতে ঢেলে শুকানো হচ্ছে। ভালো মানের পেঁয়াজগুলো আলাদা করে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, আর নিম্নমানের কিছু পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে এবং কিছু বস্তা ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। কিছু পেঁয়াজ এতটাই নষ্ট হয়েছে যে ফেলে দিতে হবে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, পেঁয়াজগুলো ব্যাঙ্গালোরের সাউথ থেকে লোড করে আনা হয় এবং বন্দরে আসতে ৬-৭ দিন সময় লাগে। পুরো যাত্রাপথে ত্রিপল দিয়ে বাঁধা থাকায় অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টিতে পেঁয়াজ ঘেমে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রায় ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে, যা তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতির কারণ হয়েছে।

হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ভারতীয় ৮২ ট্রাকে ২,৩৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ১০০-১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

পেঁয়াজের কেজি ২০ টাকা

আপডেট টাইম : ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

পূজার ছুটি শেষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলেও অতিরিক্ত গরম ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমদানি করা পেঁয়াজের অনেকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। এসব পেঁয়াজ আড়তে গুদামের মেঝেতে ঢেলে ফ্যান দিয়ে শুকানো হচ্ছে, এবং শ্রমিকরা বাছাইয়ের কাজ করছেন। বাছাই করা পেঁয়াজের মানভেদে আড়তে স্বল্পমূল্যে বিক্রি চলছে।

আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, পেঁয়াজের বস্তাগুলো গোডাউনের বাইরে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। মূলত বন্দর থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও নিম্নমানের হওয়ায় এগুলো আড়তে নিয়ে মেঝেতে ঢেলে শুকানো হচ্ছে। ভালো মানের পেঁয়াজগুলো আলাদা করে ৫০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, আর নিম্নমানের কিছু পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজিতে এবং কিছু বস্তা ১০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। কিছু পেঁয়াজ এতটাই নষ্ট হয়েছে যে ফেলে দিতে হবে।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান জানান, পেঁয়াজগুলো ব্যাঙ্গালোরের সাউথ থেকে লোড করে আনা হয় এবং বন্দরে আসতে ৬-৭ দিন সময় লাগে। পুরো যাত্রাপথে ত্রিপল দিয়ে বাঁধা থাকায় অতিরিক্ত গরম ও বৃষ্টিতে পেঁয়াজ ঘেমে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রায় ৩০০ বস্তা পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে, যা তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষতির কারণ হয়েছে।

হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে ভারতীয় ৮২ ট্রাকে ২,৩৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে ভালো মানের পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ১০০-১১০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।