বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মাগুরায় পেট্রোল বোমা হামলা মামলায় জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, জেলা জামায়াতের আমির আলমগীর হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হকসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সোমবার মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করা হয়।
২০১৫ সালের ২১ মার্চ মাগুরা সদরের মঘিরঢাল এলাকায় পেট্রোলবোমা হামলায় পাঁচ বালুশ্রমিক নিহত এবং চারজন আহত হন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাগুরার পাবলিক প্রসিকিউটর কামাল হোসেন জানান, বিএনপি জামায়াতসহ ২০ দলের অবরোধ চলাকালে গত ২১ মার্চ সন্ধ্যায় মাগুরা-যশোর সড়কের মঘিরঢালে ট্রাকে পেট্রোল বোমা হামলা করে আসামিরা। এতে ট্রাকের চালক, সহকারীসহ নয় শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়। মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ওই রাতেই রওশন নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ট্রাকচালক ইমরান, শ্রমিক মতিন, শাহিন, শাকিল মারা যায়।
ঘটনার পরদিন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই ) আব্দুল সালাম মাগুরা সদর থানায় ২৬ জনকে আসামি করে ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য ডিবিতে পাঠানো হয়। মামলার গ্রেপ্তার তিন আসামি সাদ্দাম, সবুজ ও রাসেল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। দীর্ঘ তদন্ত ও আসামিদের জবানবন্দি শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওসি ইমাউল হক ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট মাগুরা জেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ, জেলা জামায়াতের আমির আলমগীর হোসেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হকসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ মামুনের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটিতে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত উল্লেখিত চার জনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আগামী ২১ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
চার্জভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন- জেলা বিএনপি’র সাবেক সহসভাপতি মনোয়ার হেসেন খান, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুস্তারাশেদ বাকের, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান ও সদর জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফারুক হোসেন, মাগুরা জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম, মাগুরার সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা কিজিল খান, জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।