বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাম হাত বেঁকে গেছে এবং তিনি বাম কাঁধ নড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ড. এম এ জলিল। সোমবার দুপুরে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চারজন সদস্য সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে জানাতেই এই ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে ড. জলিল বলেন, ‘গত ত্রিশ বছর ধরে খালেদা জিয়া এই রোগে ভুগছেন, রোগটির নাম রিউমাটো আর্থাইটিস। এই রোগ কন্ট্রোলে না রাখার কারণে তার বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তার বাম হাত বেঁকে গেছে, বাম কাঁধ নড়াতে পারেন না, হাত ঝিম ঝিম করে। তার ঘাড়ে ও কোমরে ব্যথা আছে। তার বাম হিপজয়েন্টে আর্থাইটিস আছে। তার দুই হাঁটু আগে থেকে রিপ্লেস করা, সেখানে কিছুদিন আগে ফুলে গিয়েছিল।
ওষুধ দিয়ে তা ঠিক করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসে ভুগছেন। তাকে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলের জন্য ইনসুলিন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা নেননি। তার ডায়াবেটিসের কী অবস্থা সেটি আমাদের দেখতে হবে। মাঝখানে তার সুগার কমে হাইপো-ডায়াবেটিস হয়ে গিয়েছিল। তিনি ব্লাডপ্রেসারের ওষুধ খাচ্ছেন। মাঝখানে কিছুদিন আগে তার জ্বর হয়েছিল। সেটা এখন নাই। তার শরীরের সোডিয়াম কমে গিয়েছিল। ওষুধ দিয়ে সেটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।’
খালেদার জিয়ার অসুখের ব্যাপারে বাংলায় ব্যাখ্যা করে বলতে বলা হলে ড. জলিল বলেন, ‘এটি এক ধরণের বাত, গিঁটে গিঁটে ব্যথা। এর চিকিৎসা না হলে ঘাড়ে-মাজায়-কোমরে ব্যথা হয়। এর চিকিৎসা একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কত দিন চলবে, তা নির্দিষ্ট করে এখনই বলতে পারছে না মেডিকেল বোর্ড। উল্লেখ্য, শনিবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে খালেদা জিয়াকে আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে এনে বিএসএমএমইউ-এ ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তিনি বিএসএমএমইউ-এর ৬১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি আছেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। এরপর থেকে খালেদা জিয়া নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।